লক্ষ্য’২১: বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠকে সবাইকে নিয়ে চলার বার্তা কৈলাসের
বাংলার সংখ্যালঘু মুসলিমরা যে তৃণমূলের আমলে ভালো নেই, বঞ্চিত হচ্ছে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একুশের যুদ্ধে ‘মিশন বাংলা’ সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। দিল্লির পর মঙ্গলবার থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাড়িতে শুরু হয়েছে ১৫৪ টি বিধানসভা কেন্দ্রের সাংগঠনিক বৈঠক। কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন, মুকুল রায়, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, আলোচ্য জেলার পর্যবেক্ষক, সভাপতিরা হাজির থাকছেন বৈঠকে। বুধবার প্রথম পর্বে পূর্ব মেদিনীপুর, ঘাঁটাল, কাঁথি, তমলুক, দ্বিতীয় পর্বে হুগলি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় দলের ঐক্যের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন, কোনভাবেই যেন দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে স্বার্থের লড়াই না হয়। তাঁর সাফ কথা বিজেপি একটা পরিবার, বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো রাজনৈতিক দল। বিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো নানাভাবে চেষ্টা করবে দলের মধ্যে অনৈক্য তৈরি করতে। কিন্তু সেই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না বলে বার বার দলীয় কর্মীদের সতর্ক করেছেন কৈলাস।
প্রসঙ্গত সম্প্রতি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়ের সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর জলঘোলা হয়েছে বঙ্গরাজনীতিতে। অবশ্য দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় দুজনেই জল্পনার জল ঢেলে জানিয়েছেন, তাঁরা একসঙ্গে একুশের লড়াই লড়বেন। বৈঠকে সংখ্যালঘু ভোট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। বাংলার সংখ্যালঘু মুসলিমরা যে তৃণমূলের আমলে ভালো নেই, বঞ্চিত হচ্ছে সেই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যেসব সংখ্যালঘু এলাকায় দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে তা মেরামতের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজ্যে সম্পূর্ণ লকডাউন। তাই ওই দুদিন বিজেপির বৈঠক নেই। আবার বৈঠক শনিবার। তাই রাতেই দিল্লি গেলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।