পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সুবিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ কালনার আইনজীবী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কালনা: শরিকি সম্পত্তির বিবাদ। আর তার জেরে নিজেদেরই জাতির অন্যান্য ব্যক্তিদের দ্বারা নানারকমভাবে অত্যাচারেরও শিকার হন বলে অভিযোগ কালনার প্রৌঢ় আইনজীবী জয়দেব কর ও তার পুত্র আইনজীবী পার্থসারথি করের। শুধু তাই নয় এই ঘটনার কথা পুলিশ প্রশাসনের কাছে তুলে ধরলেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলেই তাদের অভিযোগ। সেই বিষয়টিই তুলে ধরে শেষ পর্যন্ত তারা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদেরও দ্বারস্থ হয়েছেন বলে বুধবার জানান পার্থসারথি কর। পাশাপাশি এই অভিযোগের কপিও এইদিন কালনার এসডিও সহ এসডিপিও ও পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের জামনা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বরণডালা গ্রামে পৈতৃক বাড়ি আইনজীবী জয়দেব করের।সেখানে তাদের জমিজায়গাও রয়েছে। এই বিষয়ে কালনা আদালতের বার এ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য ও জয়দেব বাবুর পুত্র পার্থসারথী কর জানান, সেই সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে তাদের বিবাদ চলছে। এমনকি এই নিয়ে বেশ কয়েকটি মামলাও আদালতে বিচারাধীন।আদালতের রায় যা হবার হবে সেইটাতো সকলকেই মানতে হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘এর মধ্যেই আমার বিবাদীরা একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে চলেছেন। কিন্তু সেই সব ঘটনার বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি। ওনাদের এই নিষ্ক্রিয়তার কারণটাই তো বুঝতে পারছি না। কিছুদিন আগে বাড়িতে ঢুকে আমার মাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও চালানো হয়। রান্নাঘরে ঢুকিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডারে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। মন্তেশ্বর থানা সহ বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও অভিযুক্তরা নাকের ডগায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সর্বশেষ ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার। বাড়ির কাজের মাসিকে গালিগালাজ করে তাকেও বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি।আইনজীবী হওয়া সত্বেও আমরাই কোনো বিচার পাচ্ছি না। গ্রামের বাড়িতে ঢুকতে না পারার কারণে চাষের কাজও করতে পারছি না কারণ সেখানে জীবন সংশয় রয়েছে। এই বিষয়টিই তুলে ধরে শেষপর্যন্ত আমরা মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সহ রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তাদেরও দ্বারস্থ হয়েছি। মেলে অভিযোগ পাঠিয়েছি। এই অভিযোগের কপি এইদিন কালনার এসডিও সহ এসডিপিও ও পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়।’ অভিযোগের বিষয় নিয়ে কালনার এসডিপিও শান্তনু চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, ‘ওনার অভিযোগের বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’