কংসাবতী নদীর গান্ধী ঘাটে শুরু হল প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কাজ

সুদর্শন বেরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুরের কংসাবতী নদীর গান্ধী ঘাটে শুরু হল প্রতিমা বিসর্জন। সোমবার বিকেল থেকেই মেদিনীপুর শহরের গান্ধীঘাটে মেদিনীপুর পুরসভার সহযোগিতায় ক্রেনের সাহায্যে প্রতিমা বিসর্জন করলো শহরের বেশকিছু পুজো কমিটি।
পুজো কমিটিগুলি যাতে সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পারেন, তার জন্য আগে ভাগেই সুব্যবস্থা করেছিল মহকুমা প্রশাসন। এদিন বিকেল থেকেই সুষ্ঠ ভাবে বিসর্জন প্রক্রিয়া শুরু হলো মেদিনীপুরে। মঙ্গলবার ও বুধবার মেদিনীপুর শহরের সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কাজ চলবে বলে মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়।মেদিনীপুর পৌরসভার প্রশাসক তথা মেদিনীপুর সদর মহকুমার মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ, প্রাক্তন কাউন্সিলর নির্মাল্য চক্রবর্তী ও পুলিশ প্রশাসনের উপস্থিতিতে সোমবার এর মতো মঙ্গলবার বিকাল থেকেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
তবে করোনা পরিস্থিতির জন্য প্রশাসনের নির্দেশ মেনে পুজা কমিটি গুলির প্রতিমা নিরঞ্জন দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতির জন্য এবার শোভাযাত্রা ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। যেখানে প্রতিমা বিসর্জনের অনুষ্ঠান দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ মেদিনীপুর শহরে শামিল হতেন, এবছর করোনা পরিস্থিতির জন্য মঙ্গলবার রাস্তায় সেভাবে মানুষকে দেখা যায়নি । তবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মুখে মাস্ক ব্যবহার করে পুজো কমিটির হাতে গোনা কয়েকজন সদস্য প্রতিমা গুলি গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে মেদিনীপুর শহরের গান্ধীঘাটে কংসাবতী নদীতে বিসর্জন দেওয়ার কাজ করে।
সেইসঙ্গে বিসর্জন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঠাকুরের কাঠামোগুলি নদী থেকে তোলার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে ক্রেন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই ক্রেন দিয়ে ওই কাঠামো গুলি নদী থেকে উপরে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে কোনোভাবেই কংসাবতী নদী তে আবর্জনা পড়ে না থাকে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে মেদিনীপুর পৌরসভা ও মেদিনীপুর সদর মহকুমা প্রশাসন।