বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে রায়দিঘিতে অবস্থান বিক্ষোভে কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়

অমিতাভ মণ্ডল, রায়দিঘি: বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক ব্লকে পথ অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করল সিপিএম। বুধবার সকাল রায়দিঘিতে রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে মিছিল হয়। মিছিলের পরেই রায়দিঘিতে অবস্থান বিক্ষোভ ও পথ অবরোধ শুরু হয়। সকাল সাতটা থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রায়দিঘি রোড। এই অবরোধে নেতৃত্ব দেন সিপিএমের প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়-সহ জেলা নেতৃত্ব। রায়দিঘি পাশাপাশি কুলতলি, জয়নগর, মন্দিরবাজারেও একই কর্মসূচী পালন করে সিপিএম নেতা-কর্মীরা।
জয়নগরে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা দলীয় পতাকা নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে প্রচুর সাধারণ মানুষও সামিল হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই জেলার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা খানাখন্দে ভরা। বর্ষায় রাস্তাগুলি জলে ভরে আছে। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে যানবাহনগুলি। প্রয়োজনীয় কাজে বেরিয়ে সময়মতো যোগ দিতে পারছেন না অনেকেই। সম্প্রতি জেলার ৮টি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার নাম উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন বাম পরীষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। বেহাল রাস্তার পাশাপাশি পূর্ত দপ্তরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছিলেন সুজনবাবু।
মথুরাপুর ব্লকের দক্ষিণ বিষ্ণুপুর থেকে রায়দিঘি পর্যন্ত ২৫ কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। এই রাস্তা সুন্দরবনের অন্যতম লাইফলাইন। পাশাপাশি কুলপি থেকে লক্ষ্মীকান্তপুর। মন্দিরবাজার, কুলতলি, জয়নগর, মহেশতলার একাধিক রাস্তার অবস্থা খুবই করুণ। বেহাল রাস্তার জন্য প্রতিদিন ভোগান্তি বাড়ছে। এই অবস্থায় মানুষের নিত্যদিনের দাবী নিয়ে আন্দোলনে নামায় ভাল জনসমর্থন মিলেছে। কান্তি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন,‘ দীর্ঘদিন ধরে জেলার একাধিক রাস্তা বেহাল। স্থানীয় প্রশাসনকে বারে বারে জানিয়েও লাভ হয়নি। তাই আজ অবস্থান, বিক্ষোভ ও অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। এরপরও সুরাহা না হলে ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হবে। এদিন রায়দিঘিতে সকাল ১০টা পর্যন্ত অবরোধ চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।