হেলিকপ্টার পরিষেবা চালু হতেই ভিড় উপচে পড়ল কেদারনাথে

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বে মারণ থাবা বসিয়েছে করোনা ভাইরাস। ভারতও সেই মারণ হানার থেকে রেহাই পায়নি। যদিও করোনা লকডাউনের রেশ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই বহু পর্যটন স্থল খুলে দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। আনলক পর্যায়ে কড়াকড়ি শিথিল হতেই বহু রাজ্যেই পর্যটকদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিয়েছে। অনেকে বাড়ির বাইরে পা রাখতে সাহস না পেলেও ভ্রমণপিপাসুরা করোনার আতঙ্ককে মাথায় নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছেন।
কিছুদিন আগে প্রথমে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা এবং তার পরে অন্য রাজ্যের তীর্থযাত্রীদের জন্যও খুলে দেওয়া হয় চারধাম যাত্রা। আনলক পর্ব চালাকালীন পর্যটকদের আনাগোনা বাড়াতে উত্তরাখণ্ড সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে চারধাম যাত্রার জন্য আর কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট লাগবে না। ইতিমধ্যেই শুক্রবার থেকে চপার পরিষেবা চালু হতে করোনার কালবেলাতেও পর্যটকদের ঢল নেমেছে কেদারনাথে। উত্তরাখণ্ড সিভিল এভিয়েশন ডেভলপমেন্ট অথরিটি থেকে জানানো হয়েছে, চপার পরিষেবার মাধ্যমে প্রথম দিনেই প্রায় ৮৯০ জন পর্যটক কেদারনাথে গিয়েছেন। গত পাঁচ দিনে চপারে করে কেদারনাথ দর্শন করার জন্য অনলাইন ২৫০০-রও বেশি ভক্ত বুক করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অক্টোবর থেকে কেদারনাথ মন্দির দর্শনের জন্য বিশেষ চপার পরিষেবার সুযোগ পেতে বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে UCADA- এর সিইও আশিষ কুমার চৌহান জানিয়েছেন, ওই হেলিকপ্টারটি কেদারনাথে যাওয়ার জন্য কতবার যাতাযায়ত করছে তা গণমা করা সম্ভব হয়নি। তবে দেবাষ্ঠম বোর্ডের এগজিকিউটিভ অপিসার রবীনাথ রামনের কথায়, যাঁরা হেলিকপ্টার করে কেদারনাথ দর্শনের জন্য আসছেন, তাঁরা কেউই কেদারনাথে হোটেল ভাড়া করে থাকছেন না। দৈনিক যাতায়াতের হিসেবে না রাখলেও প্রতিদিন চারধাম দর্শনের জন্য নূন্যতম ৪০০জন পূণ্যার্থী চপার পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন।