হোমটাস্ক না করায় কেজি পড়ুয়ার ঠোঁটে ছাঁকা! চাঞ্চল্য

বারওয়ানি: হোমওয়ার্ক করে না আনার শান্তি সরূপ দেশলাই দিয়ে চার বছরের পড়ুয়ার ঠোঁট পুড়িয়ে দিলেন শিক্ষিকা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বারওয়ানি এলাকার চাচরিয়ায়। অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে আটক করা হয়েছে। যদিও, নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গৃহশিক্ষিকা হেমা ওমরের কাছেই টিউশন নিত বছর চারেকের ওই পড়ুয়া ও তার দাদা। অভিযোগ, হোমওয়ার্ক না করায় হেমা বাচ্চাটির ওপর খেপে যান। তারপরই সম্ভবত রাগের বশে ঠোঁট পুড়িয়ে দেন ওই শিক্ষিকা।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, ১৯ তারিখ বাড়ি আসার পর থেকেই সে প্রবল জ্বরে পড়ে। তার ঠোঁটে পোড়ার ক্ষতও দেখা যায়। ঠিক কি ঘটেছে, তা জানতে চেয়ে মেয়েটির বাবা ও তার আত্মীয়রা মিলে ওই শিক্ষিকাকে বাড়িতে ডেকে পাঠান। অভিযোগ, সেখানেও সকলের সামনে মেয়েটিকে চড়থাপ্পড় মারেন ওই শিক্ষিকা। এমনকী, পরিবারের সামনে এও দাবি করেন, তিনি মেয়েটি শুধু শাসন করেছেন। এরপরই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ২১ নভেম্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মেয়েটির বাবা।
আরও পড়ুন: কেরলের নির্বাচনে প্রথম মহিলা মুসলিম প্রার্থী দিয়ে বাজিমাত বিজেপির
স্থানীয় সেন্ধওয়া গ্রামীণ থানার অফিসার ইনচার্জ ভবানী রাম ভার্মা জানান, বাচ্চাটির শিক্ষিকাই তার মেয়ের ঠোঁটে দেশলাইয়ের ছ্যাঁকা দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে হেমা ওমরের বিরুদ্ধে। যদিও, সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষিকা। তাঁর দাবি, হোমওয়ার্ক করে আনেনি বলে বাচ্চাটিকে সামান্য বকাবকি করেছেন মাত্র। এর বেশি কিছু নয়। এমনকী, পরিবারের বিরুদ্ধেও জোর করে ছেলেমেয়েকে তাঁর কাছে পড়তে পাঠানোর অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষিকা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।