করোনা কাঁটা, মাটির ছাউনির মণ্ডপে ছোট একচালার প্রতিমা মহম্মদ আলি পার্কে

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: করোনার জেরে বাঙালির সেরা উৎসব এবার অনেকটাই বর্ণহীন। বাঙালির জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব এবারও পালিত হবে, কিন্তু সেই মেজাজ আসবে না। ক’দিন আগে কুমোরটুলি ঘুরে আঁচ পাওয়া গিয়েছিল এবার সব পুজোর প্রতিমা ছোট হবে। আর প্রতিমা হবে একতারার।
কলকাতার অনতম সেরা পুজো মহম্মদ আলি পার্কের পুজো। ভিড় সামলাতে হয়রান হয় পুলিশ। সেই পুজোর জৌলুস এবার বেশ কম। বিরাট প্রতিমা, আকর্ষণীয় মণ্ডপ, তেমন চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা- এসব এবার তেমনভাবে চোখে পড়বে না। বুধবার মহম্মদ আলি পার্কের পুজোর উদ্যোক্তা ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন অনাড়ম্বরভাবেই খুঁটি পুজো করল।
জানা গিয়েছে, গতবছরের পুজোর বাজেটের মাত্র ২৫ শতাংশ বাজেটে এবার পুজো হবে। গ্রামের খড়ের ছাউনি দেওয়া ছোট মণ্ডপে একচালায় ছোট প্রতিমা হবে। নদিয়ায় শিল্পী কুশ বেরাকে প্রতিমা তৈরির বায়না দেওয়া হয়েছে। অতীতে ২০ থেকে ২২ ফুটের চোখ ধাঁধানো প্রতিমা এবারে অনুপস্থিত। বড়জোর ১০ থেকে ১২ ফুটের প্রতিমা হবে।
পুজো কমিটির পক্ষে অশোক ওঝা জানালেন, ‘করোনার জেরে এবার বড়ো কোন ভাবনা নেই। অতিমারির জেরে তেমন বিঞ্জাপন নেই। গতবারের বাজেটের মাত্র ২৫ শতাংশ এবারের পুজোর বাজেট। মাস দুয়েক আগে আমরা অনুমতি চেয়ে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছি। আমরা কোভিড স্বাস্থ্য বিধি মেনেই পুজো করবো। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু আমাদের সব রকমের সাহায্য করছেন।’ এদিন খুঁটি পুজোয় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তাপস রায়, বিধায়ক স্মিতা বক্সি, কাউন্সিলর রেহানা খাতুন।
প্রকৃতির পাঠশালায় নিয়ম মেনে শরৎ আসবে। কাশের বনে ঢেউ উঠবে বাতাসের। শিউলি ফোটা ভোরে শিশিরের আল্পনা। আয়োজনের খামতি নেই, শুধু করোনা অতিমারি আনন্দটাই ব্লটিং পেপারের মতো শুষে নিয়েছে। তবু তারই মধ্যে আয়োজন , আনন্দময়ী যে দ্বারে।