‘অস্তিত্ব সংকটে ধুঁকছে তৃণমূল দলটি’: মহাদেব সরকার

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর : ‘তাসের ঘরের মতো ভাঙার উপক্রম তৃণমূল কংগ্রেস দলটি। আর কয়েকমাস পর রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন,তারপর আর এই রাজনৈতিক দলটিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। অস্তিত্ব সংকটে ধুঁকছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, এমতাবস্থায় কোন দিশা না পেয়ে দলের ভাড়াটিয়া ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের নয়া দাওয়াই ইউথ ইন পলিটিক্স কর্মসূচি। প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক প্রসূত এই ভাবনার মধ্য দিয়ে রাজ্যের যুব সমাজের উপর মগজধোলাই চলছে। নানা অজুহাত সহ প্রলোভন দিয়ে যুবসমাজ কে বিভ্রান্ত করে দলে টানার চেষ্টা চলছে।‘ এমনটাই অভিযোগ বিজেপির কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকারের।
মহাদেববাবুর আরও অভিযোগ, ‘দাবি করা হচ্ছে রাজনীতির শুরুটা দেশের একটি সেরা রাজনৈতিক দলের হাত ধরে, সেরা রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সংস্পর্শে করতে হবে। শুনতে তো খুব ভালো লাগে কিন্তু বাস্তবে কি কথাগুলি ঠিক? যুব সমাজকে নিয়ে আবার প্রতারণার ছক! তৃণমূল কংগ্রেস কবে দেশের সেরা রাজনৈতিক দল হল?একটি আঞ্চলিক পর্যায়ের রাজনৈতিক দল এবং যে দলের অধিকাংশ নেতানেত্রীই সারদা, নারদা সহ একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত কিংবা অভিযুক্ত,তারা কিনা দেশের যুবসমাজ তথা নতুন প্রজন্মকে রাজনীতির পাঠ দেবেন? খেয়ে দেয়ে আর কাজ নেই যুব সমাজের। লুটেপুটে খাওয়া একটি রাজনৈতিক দল। যাদের আগামী আট থেকে নয় মাস পর খুঁজে পেতে হলে দূরবিন প্রয়োজন হবে, তারা কিনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বচ্ছ রাজনীতির পাঠ দেবে!’ অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে কথা গুলি বলেন, বিজেপি কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকার।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করতে পারেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী! জোর জল্পনা
মহাদেববাবু আরও বলেন, ‘নদীয়া জেলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, বিজেপির থেকে বহু কর্মী, সমর্থক নাকি প্রতিনিয়ত তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়া, অস্তিত্ত্ব বিপন্ন হতে যাওয়া একটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল,যে দলটির তরী ডুবতে চলেছে সেই দলে নাকি, একটি সর্বভারতীয় আদর্শবাদী রাজনৈতিক দলের কোনও কর্মী বা সমর্থক যোগ নিচ্ছেন এই ধরনের কথা কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য? এদের কি পাগলা কুকুরে কামড়েছে, যে একটি ডুবন্ত জাহাজে অর্থাৎ ডুবতে বসা রাজনৈতিক দলে নাম লেখাবে? আসলে এদের মাথা এখন পুরোপুরি বিগড়ে গেছে। করে কম্মে খাওয়া ওয়ান ম্যান সোয়িং রাজনৈতিক ঠিক নয় সার্কাস দলকে রাজ্যের মানুষ আর বিশ্বাস করছে না, অভিযোগ কৃষাণ মোর্চার রাজ্য সভাপতি মহাদেব সরকারের।