
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু শীর্ষ আদালত কেএমডিএ -এর আর্জি খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখল। হাইকোর্টের নির্দেশ, এবারও রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে করা যাবে না ছটপুজো।
কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কলকাতা মেট্রোপলিট্যান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেএমডিএ)। আজ বৃহস্পতিবার ওই আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। তার ফলে ফের একবার ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এমনটাই বিরোধীদের দাবি। তবে সুপ্রিম কোর্টর শুনানির আগে থেকেই রবীন্দ্র সরোবরের খোলা অংশ টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে কেএমডিএ। আদালতের নির্দেশ থাকা স্বত্বেও বিগত বছরে অনেকেই দল বেঁধে রবীন্দ্র সরোবরে গিয়ে ছটপুজো করেছে বলে অভিযোগ। তাই এবার যাতে সরোবরের ভিতরে কেউ ঢুকে ছটপুজো করতে না পারে তার জন্য, খোলা জায়গা টিন দিয়ে ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।
গত বছরের মতো জাতীয় পরিবেশ আদালত এবছরও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিধিনিষেধ মেনে কেএমডিএ ছটপুজোর আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। কিন্তু আবেদন খারিজ হয় সেখানেও। এরপর এই দুই আদালতের রায়ের বিরোধিতায় সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে কেএমডিএ। যে বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ১৬ তারিখ, সেখানে শুনানি না হয়ে অন্য বেঞ্চে শুনানিতে সরোবরে ছটপুজোর কোনও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছিল ২৩ তারিখ। কিন্তু ২০ তারিখ ছটপুজো। তাই ২৩ তারিখ শুনানি হলে, কোনও লাভ হবে না। এই যুক্তিতে কেএমডিএ জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন করে। সেইমতো বৃহস্পতিবার তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু একই রায় বহাল রাখে শীর্ষ আদালত। হাই কোর্ট এবং জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায়ে কোনও সংশোধন হবে না বলে জানিয়ে দেন তিন বিচারপতি।
আরও পড়ুন: মালদায় প্লাস্টিক কারখানায় বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫, ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম
এই রায় শুনে কেএমডিএ’র চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরাহাদ হাকিম জানান, ”মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখে এবছর আমরা বিধিনিষেধ মেনেই রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজোর অনুমতি চেয়েছিলাম। তা খারিজ হয়েছে। শীর্ষ আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে শহজুড়ে বিকল্প প্রচুর কৃত্রিম জলাশয় ও ঘাট তৈরি করা হয়েছে। সকলের কাছে আবেদন, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে বাড়ির কাছের জলাশয় বা ঘাটে ছটপুজো করুন।”