হেডলাইন
ছট পুজো, কোভিড পরিবেশবিধি মেনে শহরে ৩৮টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করবে KMDA

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: করোনা পরিস্থিতির জন্য চলতি বছরে রবীন্দ্র সরোবর এর বাইরে ছট পুজো করা নিয়ে নারাজ ছিল কেএমডিএ। কিন্তু জাতীয় পরিবেশ আদালত নির্দেশ দেয়, রবীন্দ্র সরোবরে ছট পূজা করার জন্য এবং বিকল্প ঘাট বা জলাশয় প্রস্তুত রাখার জন্য।
তবে কোভিড আবহে ছট পুজো হবে কি না, তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ইতিমধ্যেই দায়ের হয়েছে মামলা। আর সেই কারণে শেষপর্যন্ত কোভিড বিধি মেনে ও পরিবেশবিধি মেনে যাতে শহরে কিছু অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা যায় তার জন্য উদ্যোগী হল কলকাতা পুরসভা। মঙ্গলবারই কেএমডিএ কে শর্ত সাপেক্ষে পরিবেশ বিধি মেনে ৩৮টি অস্থায়ী ঘাট নির্মাণের ছাড়পত্র দিয়েছে কলকাতা পুরসভা।
জানা গিয়েছে, করোনা পরিবেশবিধি মেনে রবীন্দ্র সরোবর সংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন জলাশয়ে ৩৮টি অস্থায়ী ঘাট তৈরির জন্য শর্তসাপেক্ষে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে অনুমতি দিয়েছে পুরসভা।তবে পরিবেশ দফতরের নির্দেশিকা মেনেই সেই জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে পুজোর আগে ও পরে। পরিবেশ দফতরের নিয়মানুযায়ী ছট পুজোর আগে যে জলাশয়ে ছট পুজোর জন্য অস্থায়ী ঘাট নির্মাণ করা হবে সেই জলাশয়ে জলের নমুনা রেখে দিতে হবে। সেই নমুনা পরীক্ষা করে জলাশয় পরিষ্কার করতে হবে। পুজোর পরে আবারও সেখানকার জলের নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। সেই সঙ্গে ওই জলাশয়ে যাতে দূষণ না হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। জলের দূষণ প্রতিরোধে পুজার উপাচার হিসবে যে সমস্ত ফুল এবং পাতা থাকবে সেগুলিও যাতে জলে না পড়ে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। পুজোর পরেই তা পরিষ্কার করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।’
অন্যদিকে কেএমডিএ’র তরফে জানা গিয়েছে, গত বছর যেখানে যেখানে অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হয়েছিল, এবারেও সেই সেই জায়গায় ওই অস্থায়ী ঘাট তৈরি হবে। বড় জলাশয়ের ক্ষেত্রে ঘাটের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যোধপুর পার্ক ঝিল, গল্ফক্লাব অঞ্চলের কয়েকটি জলাশয়, লায়েলকা এবং আনন্দপুর এলাকায় বিভিন্ন জলাশয়ের ধারে তৈরি হবে ওইসব অস্থায়ী ঘাট। কেএমডিএ’র প্রস্তাবিত মোট ৪৪টি ঘাটের মধ্যে ৭টি স্থায়ী ঘাট আগেই তৈরি করেছে কেএমডিএ। তাই এখন বাকি ৩৮টি অস্থায়ী ঘাট তৈরি করা হবে। রবীন্দ্র সরোবর ও সুভাষ সরোবরে ছট পুজোর ভিড় ঠেকাতে গত বছর এই উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু তাতে সাধারণ মানুষ সাড়া না দেওয়ায় সফল হয়নি। চলতি বছরে যেখানে সুপ্রিম কোর্ট রবীন্দ্র সরোবরে ছট পূজা নিষিদ্ধ করেছে, সেখানে মানুষ কি করেন তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্য প্রশাসনও।