যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার যা রেড জোন গুলোকে এবার গ্রীন জোনের ফেরাতে ফিরহাদের নয়া পরিকল্পনা। শহরের বেলগাছিয়া এলাকাকে রেড থেকে এক মাসের মধ্যে গ্রিন জোনে আনা হয়েছে ঠিক সেই পদ্ধতিই এবার প্রয়োগ করা হতে পারে কলকাতার অনান্য রেড বা অরেঞ্জ জোনে থাকা এলাকাতেও। করা হবে ‘নিওনডেটক্স স্প্রে’। ইতিমধ্যেই নাকি এই বিষয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তথা কলকাতা পুরনিগমের প্রশাসকমন্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মধ্যে যে এলাকার সব থেকে বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তা হল এই কলকাতা। এমনকি এই শহরেই এখনও পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাসে যতজন মারা গিয়েছেন তা রাজ্যের মধ্যে সর্বাধিক। এই শহরে যে সব এলাকায় সব থেকে বেশি আক্রান্তের হদিশ মিলছিল তার মধ্যে প্রথম দিকেই ছিল বেলগাছিয়ার নাম। এক মাস আগেও এই এলাকা কার্যত ছিল রেড জোনে। অথচ এখন এই এলাকাই চলে এসেছে গ্রিন জোনে। কারন সেখান থেকে মেলেনি নতুন করে কোনও করোনায় আক্রান্তের সন্ধান।
আরও পড়ুন: রেশনের চাল পাচারের অভিযোগ রায়গঞ্জে
জানা গিয়েছে ‘নিওনডেটক্স স্প্রে’ হল এক রাসায়নিক শক্তিশালী স্প্রে, যা মারণ ভাইরাসকে বাগে আনতে অব্যর্থ। কলকাতা পুরনিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই স্প্রে থেকে এক লক্ষের বেশি আইওএন বার হয় যা করোনা ভাইরাসকে শেষ করার ক্ষমতা রাখে। কোনও ব্যক্তির ওপর এই স্প্রে করলে আল্কালাইন বেড়ে যায়, যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ড্রাগ কন্ট্রোল অথোরিটির সার্টিফিকেট নিয়ে এটি তৈরি করা হয়। সেই স্প্রেই করা হয়েছিল বেলগাছিয়াতে। তার সফলতা স্বরূপ বেলগাছিয়া আখন গ্রিন জোনে। তাই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলেই এই স্প্রে এবার কলকাতার অনান্য এলাকাতেও করার চিন্তাভাবনা করছেন ফিরহাদ হাকিম।