
শরণানন্দ দাস, কলকাতা: শহরতলির ট্রেন হিসাবে চক্ররেল মেট্রোর মতো ততোটা গুরুত্ব পায়নি। যদিও শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণকে জুড়েছে এই রেলপথ। কিন্তু এবার হয়তো দুয়োরানির তকমা ঘুচতে চলেছে চক্ররেলের। শহরতলির লোকাল পরিষেবা শুরু হলে বাড়তে পারে চক্ররেলের সংখ্যা।
মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়েছে। যদিও লোকাল ট্রেন চলবে কি না সে বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। নবান্নের সঙ্গে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের বৈঠকের পর রূপরেখা চূড়ান্ত হতে পারে। কিন্ত লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে যাত্রীভিড় কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে সেটাই ভাবাচ্ছে রেলকে। সেক্ষেত্রে শিয়ালদার উপর ভার কমানোর জন্য চক্ররেলের পরিকাঠামো উন্নত করার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে পূর্ব রেল। পূর্ব রেলের কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখেছেন, চক্ররেলকে যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে শিয়ালদার উপর ভিড়ের চাপটা অনেকটাই কমানো সম্ভব। বিশেষ করে অফিসযাত্রীদের ভিড়। দমদম থেকে কলকাতা স্টেশন , বাগবাজার হয়ে গঙ্গার ধার বরাবর অফিসপাড়া ডালহৌসি, ইডেন গার্ডেন্স হয়ে মাঝেরহাট চলে যাচ্ছে চক্ররেল। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণের অফিসযাত্রীদের একটা বড়ো অংশই চক্ররেলে সওয়ার হতে পারবেন। অনদিকে ইলেকট্রিক লাইনের জন্য ইএমইউ লোকাল চক্রপথে চলে মাঝেরহাট থেকে , নৈহাটি, ব্যারাকপুর, রানাঘাট,গেদে পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: শ্রীকৃষ্ণের অবতার নরেন্দ্র মোদি, টুইটে প্রশস্তি তথাগত রায়ের
তবে অফিসযাত্রীদের চক্ররেলের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়ণের দরকার। সকাল ও বিকেলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে হবে যাতে অফিসযাত্রীরা চক্ররেলে চড়তে পারেন। ফলে শিয়ালদামুখী লোকালে অফিসযাত্রীদের ভিড়টা অনেকটা কমানো সম্ভব হবে। তাই চক্ররেলের পরিকাঠামোয় উন্নয়ণ ঘটিয়ে চক্রপথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা করছে রেল। সেটা বাস্তবায়িত হলে দুয়োরানি তকমা ঘুচবে চক্ররেলের, উপকৃত হবেন আম জনতা।