
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: হাইকোর্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব আর স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে হলফনামা জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য সরকার ও পুলিশ কীভাবে পুজোর ভিড় সামলাবে সেটা জানতেই ওই হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই নির্দেশ মাথায় রেখেই এদিন কলকাতা পুলিশের তরফে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে কলকাতার সব পুজোমণ্ডপে একজন করে এস আই পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকবেন। কলকাতার পুজো প্যান্ডেলগুলিতে কোভিড বিধি ঠিকঠাক মানা হচ্ছে কি না তা দেখার জন্য নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার। প্রতিটি প্যান্ডেলে একজন করে এসআই পদমর্যাদার পুলিশকর্মী এই নোডাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। নোডাল অফিসাররা খতিয়ে দেখবেন ব্যবস্থা। সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক পড়ার মতো বিধি মানা হচ্ছে কিনা সেদিকে কড়া নজর রাখবেন তাঁরা। নোডাল অফিসাররা রিপোর্ট দেবেন সংশ্লিষ্ট ওসিকে। তাঁরা রিপোর্ট দেবেন ডিসিকে।
জানা গিয়েছে, কলকাতার যে সব মণ্ডপে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় হয় সেখানে একাধিক নোডাল অফিসার নিয়োগ করবে লালবাজার। সুরুচি সংঘ, নাকতলা উদয়ন সংঘ, কলেজ স্কোয়ার, বাদামতলা, ৬৬ পল্লী, চেতলা অগ্রণী, বড়িশা ক্লাব, বেহালা নতুন দল, বাগবাজার, শ্রীভূমি, দমদম পার্ক তরুণ সংঘে একাধিক নোডাল অফিসার রাখা হবে। আবার পাড়ার একদম ছোট পুজোগুলির জন্য এক একজন নোডাল অফিসারের কাঁধে একাধিক পুজোর দায়িত্ব চাপবে। এই সব নোডাল অফিসাররা মণ্ডপে থেকে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সব সিদ্ধান্ত নেবেন। প্রয়োজনে তাঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাময়িক ভাবে মণ্ডপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারবেন আর তা পুজোকমিটিকে মেনে নিতে হবে। পুজোর শেষে এই সব কিছু নিয়ে নোডাল অফিসাররা তাঁদের লিখিত রিপোর্ট জমা দেবেন থানার ওসিকে। সেই রিপোর্ট আবার জমা পড়বে ডিসির কাছে। সেখান থেকে তা যাবে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে। সেই রিপোর্ট আবার স্বরাষ্ট্রসচিব জমা দেবেন আদালতে।
আরও পড়ুন: মণীশ শুক্লা খুনের ঘটনায় সিআইডি তদন্তের উপরেই ভরসা রাখল হাইকোর্ট
করোনা আবহে বাংলায় বারোয়ারি দুর্গাপুজো বন্ধ করার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। গতকাল সেই মামলার শুনানির পর রাজ্য সরকারের রিপোর্ট চেয়েছে আদালত। মামলাকারী আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আদালত বলেছে, ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে আলাদা করে রিপোর্ট দিতে হবে। সোমবার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপর আদালত গাইডলাইন ঠিক করে দেবে। মামলাকারীদের তরফে বলা হয়েছে, কেরলের সংক্রমণ ছিল একেবারে কম। কিন্তু ওনাম উত্সবে অনুমতি দেওয়ায় সেখানে হুহু করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে। তা ছাড়া মহারাষ্ট্র সরকারের সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেছেন মামলাকারীরা। তাঁরা বলেছেন, গণেশ চতুর্থী মারাঠা মুলুকের সবচেয়ে বড় উত্সব। সেখানে মহারাষ্ট্র সরকার সেই উত্সবে অনুমতি দেয়নি। এমনিতে চিকিত্সকদের যৌথ মঞ্চ সপ্তাহ দুয়েক আগেই চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা আবেদন করেছিলেন, এবার পুজোয় লাগাম টানুক সরকার।