কলকাতাগুরুত্বপূর্ণপশ্চিমবঙ্গহেডলাইন
ভুয়ো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট কাণ্ডে এবার আয়কর দফতরের শীর্ষ কর্তাকে তলব লালবাজারের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমে ধীরে ধীরে দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতি রয়েছে খোদ সরকারি দফতরেই। প্রথমে বিএসএফের পর এবার গোয়েন্দাদের নজরে আয়কর দফতরের শীর্ষ আধিকারিক। ভুয়ো চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট গোবিন্দ আগরওয়াল মঙ্গলবার জামিন পেয়ে গেলেও তাকে জেরা করেই জানা গিয়েছে এই আধিকারিকের কথা। জানা গিয়েছে, গরু পাচার ও কয়লা পাচার কাণ্ডের কালো টাকা অনেক সময় এই আয় কর আধিকারিককে ঘুষ দিতেন গোবিন্দ। যদিও এই আধিকারিক কে তলব করা হলেও তিনি এখন কলকাতার বাইরের বাসিন্দা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পাশাপাশি পৃথকভাবে এই ঘটনা তদন্তে নেমেছে লালবাজার। বেআইনি সংস্থা খুলে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ভুয়ো চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট গোবিন্দ আগরওয়ালকে। যদিও মঙ্গলবার তিনি জামিন পেয়েছেন। গোবিন্দ নিজের বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ডের টাকা বাজারে খাটিয়ে নিতেন।একদিকে সীমান্তে দুর্নীতিগ্রস্ত বিএসএফ আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে কাজ আদায় করত এনামুল এবং লালা আর অন্যদিকে এই আয়কর কর্তার সঙ্গে বোঝাপড়া করে কালো টাকা সাদা করে নিতেন গোবিন্দ আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ী। বেশ কিছুটা লভ্যাংশ ঘুষ ভাবে দেওয়া হত এই আয়কর আধিকারিককেও।
অভিযোগ, আয়কর দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জালিয়াতি করেছেন গোবিন্দ। পুলিশ সূত্রে দাবি, আয়কর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে অভিযানে যেতেন গোবিন্দ। পুলিশ সূত্রে খবর, গোবিন্দ অগ্রবালকে গ্রেফতারের পর তাঁর দফতর থেকে উদ্ধার হয় আয়কর সংক্রান্ত নথি। ওই নথিতে শীর্ষ আধিকারিকের সই ছিল। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমিশনার পদে কর্মরত। কীভাবে ওই আধিকারিকের সই করা নথি গোবিন্দ অগ্রবালের কাছে এল, তার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। একইসঙ্গে তার সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত আছে, তারও তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা।