রায়গঞ্জে ফুঁসছে কুলিক নদী, বাঁধে আশ্রয় নিচ্ছেন জলমগ্ন এলাকার মানুষ

শান্তনু চট্টোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ: অতি বর্ষণে কুলিক উপচে প্লাবিত রায়গঞ্জের বিস্তির্ণ এলাকা। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জের কুলিক নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। রায়গঞ্জ ব্লকের জগদীশপুর,ভাটোল, বিন্দোল,বাহিন,গৌড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের বিস্তির্ণ এলাকায় জল বাড়তে শুরু করেছে। রায়গঞ্জ পৌরএলাকার নদী সংলগ্ন কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে বন্যার আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কুলিক নদী বাধের বেশ কিছু অংশে ভাঙন শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। এই পরিস্থিতিতে নদীতীরের বাসিন্দারা বাঁধের উপর ত্রিপল খাটিয়ে অস্থায়ী আস্তানা তৈরির কাজ শুরু করেছে। তারা জানিয়েছেন,” টানা বৃষ্টিতে নদীর জল বাড়ছে। বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘরে বৃষ্টির জল ঢুকে গিয়েছে। বেশ কিছু অংশে বাধের অবস্থা খারাপ। তাই আগাম সতর্কতা হিসাবে বাঁধে আশ্রয় নিয়েছি।
উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নির্দেশে ব্লকের সেচ দফতরের আধিকারিকেরা প্লাবিত গ্রামগুলি পরিদর্শণ শুরু করেছেন। সতর্কতা জারির পাশাপাশি ভারী বর্ষণে এলাকা প্লাবিত হলে বাসিন্দাদের ফ্লাড সেন্টার গুলিতে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পরিবার এই সেন্টার গুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। শুরু হয়েছে ত্রানবিলির কাজ।
আরও পড়ুন: বাংলার শান্তি ফেরাতে কালীঘাটে মমতার বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের
অন্যদিকে ২০১৭ সালের বন্যায় রায়গঞ্জ পুর এলাকার রমেন্দ্রপল্লী,শক্তিনগর, পশ্চিম বীরনগর,কান্তনগর সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়। তবে এবছর পুরসভা প্রথম থেকেই সতর্ক রয়েছে। সারাই করা হচ্ছে স্লুইস গেটগুলি। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে নদী বাঁধ ও স্লুইস গেটগুলি মেরামতের জন্য সেচ দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। এখনই বন্যার আশঙ্কা নেই পুর ওয়ার্ডে। অন্যদিকে কুলিক ফরেস্ট ও সংলগ্ন বিস্তীর্ণ অংশ ইতিমধ্যেই নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে টানা বৃষ্টির জেরে বন্যার আশঙ্কায় দিশেহারা সাধারণ মানুষ