বামেদের ডাকা ধর্মঘট ঘিরে দুর্গাপুরে অবরোধ তুলতে পুলিশের লাঠিচার্জ, ধুন্ধুমার

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেসরকারীকরনের প্রতিবাদে সিটু, আইএনটিইউসির দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটে ধুন্ধমার কান্ড শিল্পশহর দুর্গাপুরে। ধর্মঘটকারীদের দফায় দফায় সড়ক ও রেল অবরোধ করে। অবরোধ তুলতে গিয়ে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি। পুলিশের লাঠিচার্জ। সব মিলিয়ে ধুন্ধমার কান্ড শিল্পশহরে।
প্রসঙ্গত, বৃহঃস্পতিবার রেল সহ বেশ কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা বেসরকরীকরনের প্রতিবাদ ধর্মঘট ছিল সিটু, আইএনটিইউসি সহ বেশ কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের। এদিন সকাল দুর্গাপুর ষ্টেশন রেল অবরোধ করে ধর্মঘটীরা। সেখানে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয় রেল পুলিশ। তারপর দুর্গাপুর ষ্টেশন সংলগ্ন বাঁকুড়া মোড়ে সড়ক অবরোধ করে। সেখানে অবরোধ তুলতে গেলে ধর্মঘটীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারপর ধর্মঘটিরা ২ নং জাতীয় সড়কের ডিভিসি মোড় অবরোধ করে। ফলে জাতীয় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। অবরূদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দুর্গাপুর এনটিপিএস থানার পুলিশ।
অবরোধকারীদের তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সেখানেও ধস্তাধস্তি শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কমব্যট ফোর্স। উত্তেজিত অবরোধকারীদের সরাতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। ঘটনায় জনা কুড়ি অবরোধকারী জখমও হয়। শেষমেশ পুলিশ সেখান থেকে শতাধিক অবরোধকারীকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়।
ঘটনায় সিটু নেতা পঙ্কজ রায়সরকার বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক-কৃষক বিরোধী নীতির বিরোধীতা সহ ৭ দফা দাবিতে দেশজুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক ছিল। পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশ মোদীকে বাঁচানের জন্য মমতার নির্দেশে এই কাজ করেছে। এটা গনতন্ত্রের ওপর চরম আক্রমন।” যদিও এদিন ধর্মঘটের বিরোধিতা করেছে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
সংগঠনের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক তথা দুর্গাপুরের বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল বলেন,” ধর্মঘটের দাবীগুলি নৈতিক সমর্থন করলেও ধর্মঘট সমর্থন করছি না।” বিএমএসের আসানসোল সংগঠিন জেলা সম্পাদক অসীম পরামানিক বলেন,” কর্মনাশা ধর্মঘট সমর্থন করি না। শ্রমিক স্বার্থে লড়াই করি।”