দার্জিলিং সহ উত্তরবঙ্গের করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি রাজু বিস্তের

সঞ্জিত সেনগুপ্ত, শিলিগুড়ি: শিলিগুড়ি সহ দার্জিলিং জেলায় করোনা চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব সহ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ বিজেপি-র রাজু বিস্ত। শনিবার লেখা এই চিঠিতে তিনি এখানকার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে বর্তমান পরিকাঠামো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থায় কোথায় কোথায় কি ধরনের দুর্বলতা রয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেছেন। সেই দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাবও দিয়েছেন। এই অঞ্চলে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে পর্যাপ্ত হাসপাতাল, ডাক্তার এবং নার্সের অভাবের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তিনি দ্রুত হাসপাতাল তৈরির পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। যেভাবে ডাক্তার, নার্স, পুলিশ তথা করোনার বিরুদ্ধে প্রথম সারির যোদ্ধারা একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে জনবহুল এলাকাগুলিতে সাধারণ মানুষের করোনা বিধি মেনে চলার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন এই বিজেপি সাংসদ। সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যদি মাস্ক ব্যবহার করা সহ বিভিন্ন নির্দেশ অমান্য করে তার জন্য জরিমানা ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
হাসপাতালের সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজু বিস্ত প্রস্তাব দিয়েছেন রেল দফতরর থেকে ট্রেনের কোচগুলিতে যে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে সেগুলি শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গ প্রতিটি জেলাতেই ব্যবহার শুরু করা হোক। করোনা চিকিৎসার উপযোগী করে এই রেল কোচগুলি ব্যবহার করা হলে চিকিৎসা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে তিনি মনে করেন।
পাহাড় তথা দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের বাসিন্দাদের করোনা চিকিৎসার জন্য ত্রিবেণীতে প্রস্তাবিত হাসপাতালটি চালু করার বিষয়টিও তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে স্মরণ করিয়েছেন।
রাজু বিস্ত বলেন, ‘এই হাসপাতালটিকে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হলেও পরিকাঠামো ও সুযোগ সুবিধার দিক থেকে এখনও এটি এটি সারি লেভেল-১ ও ২ এ সীমাবদ্ধ রয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কোভিড হাসপাতাল করতে গেলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের পাশাপাশি আরও ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছি।’
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এখন সব থেকে জরুরি বাইরে থেকে আসা প্রতিটি মানুষের কোভিড টেস্ট করা। এ ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন এর পাশাপাশি কোয়ারান্টইন সেন্টারগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো দরকার বলেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন তিনি।