আঁধার ঘুঁচে আলো জ্বলল, দুর্গাপুর ডিপিএল সাব-স্টেশন বস্তি ৩৫ বছর পর বিদ্যুৎ সংযোগ পেল

জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: ওদের হাতেই তৈরি শহরের অভিজাত এলাকার অট্টালিকা। কাজের সূত্রে এসে শহরর একচিলতে ঘরে বসবাস। আর তারপর আজও বস্তিবাসী। বছরের পর বছর প্রদীপের নীচে অন্ধকারেই বসবাস করেছে। পায়নি বিদ্যুৎসংযোগ। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর আঁধার ঘুঁচে আলো জ্বলল। কেন্দ্রীয় ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার ডেভলপমেন্ট স্কীমে বিদ্যুৎ সংযোগ পেল শিল্পশহর দুর্গাপুরের বিধাননগরের ডিপিএল সাব-স্টেশন বস্তি। বিদ্যুৎ সযোগ পেয়ে বেজায় খুশি এলাকার পড়ুয়া থেকে বাসিন্দারা।
দুর্গাপুর পুরসভার ২৭ নং ওয়ার্ডের বিধাননগর ডিপিএল সাব-স্টেশন বস্তি। বিধানগর অভিজাত এলাকা তৈরির পর থেকে ওই বস্তি গড়ে ওঠে। বছর পয়ঁত্রিশ আগে কেউ রাজমিস্ত্রি, কেউ ঠিকাশ্রমিকের কাজে এসে ওখানেই বসবাস শুরু করে। বস্তি গড়ে উঠলেও নানান জটিলতায় অন্ধকারেই দিন কাটে। আলোকজ্জ্বল শহরের একচিলতে অন্ধকার বস্তি। যেন প্রদীপের নিচে অন্ধকার। আলের অভাবে ওইসব পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় সমস্যা হয়। তার মধ্যে হ্যারিকেনের বাতিতেও বস্তির প্রায় শ’খানেক পড়ুয়া উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে। কিন্তু আক্ষেপ, বস্তিতে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায়। বছর খানেক আগে বস্তির কয়েকজন স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিতাভ ব্যানার্জির সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারপর তিনি স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের দ্বারস্থ হন।
রাজ্য বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের তৎপরতায় কেন্দ্রীয় ইন্ট্রিগেটেড পাওয়ার ডেভলপমেন্ট স্কিমে শহরের বিভিন্ন অনুন্নত বস্তি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ শুরু হয়। ওই স্কিমে ডিপিএল সাব-স্টেশন বস্তিতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বসে। বস্তির প্রায় ৫৫ টি পরিবার বিদ্যুৎ সংযোগ পায়। রবিবার ছিল ওই বস্তির বিদ্যুৎ পরিষেবার উদ্বোধন।
স্থানীয় পড়ুয়া পূজা প্রসাদ, বিধানচন্দ্র মাহাত জানায়, ” আমাদের জন্ম থেকেই দেখছি এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। হ্যারিক্যানের ল্যাম্পের আলোতেই পড়াশোনা করে এসেছি। আজ বিদ্যুৎ সযোগ পেয়ে খুবই খুশি।”
স্থানীয় বিজেপি নেতা অমিতাভ ব্যানার্জি জানান,” পশ্চিমবাংলায় এখনও অনেক গ্রাম, বস্তিতে বিদ্যুতের আলো পৌঁছায়নি। কেন্দ্র সরকারের এই স্কীমে বহু গরীব বস্তি, গ্রাম উপকৃত হবে।”