হেমতাবাদের মতো বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তভারও সিআইডি-র হাতে দিল রাজ্য

অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: বিজেপি যতই সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকুক, দক্ষিণ দিনাজপুরের হেমতাবাদের বিজেপি নেতা দেবেন্দ্রনাথ রায়ের ঘটনার মতোই মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার দুপুরেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের থেকে তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডি-র হাতে। নবান্ন থেকে নির্দেশ আসতেই এদিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রমাণ সংগ্রহ করেন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখেন ৫ সদস্যের সিআইডির গোয়েন্দারা। যদিও সেখানেও তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। তার পর তারা যান টিটাগড় থানায়।
প্রসঙ্গত, টিটাগড়ের ঘটনার পর ব্যারাকপুর জুড়ে বনধ, রাস্তা অবরোধ করতে আগুন জ্বালিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। টিটাগড়ে সোমবার সকাল থেকেই পুলিশ এবং মণীশ শুক্লের অনুগামীদের মধ্যে দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ বাধে। অভিযোগ ওঠে, পুলিশ ইচ্ছাকৃত ভাবে সব ধামাচাপা দিতে চাইছে। সিআইডি-র অফিসারেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁদের লক্ষ্য করেও ইট-পাথর-কাচের বোতল এমনকি বোমাও ছোড়া হয়। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিশকে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এরই মধ্যে ঘটনার তদন্তভার সিআইডি-র হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার। যদিও সোমবার রাজ্য পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, টিটাগড়ে এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। ব্যক্তিগত শত্রুতা না পুরনো আক্রোশ, কী কারণে খুন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ খুন করেছে মণীশ শুক্লকে। বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ হল ম্যাজিশিয়ান। কী করে খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা প্রমাণ করতে হয়, তা তারা ঠিক জানে।’ থানার কাছে খুন করে চলে যাওয়ার পরেও কি ভাবে দুষ্কৃতীদের পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।