চলে গেলেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক সুধীর চক্রবর্তী

শ্যামল কান্তি বিশ্বাস, কৃষ্ণনগর: বিশিষ্ট সাহিত্যিক অধ্যাপক সুধীর চক্রবর্তী আর নেই আমাদের মধ্যে। সব মায়া ত্যাগ করে তিনি চির বিদায় নিলেন। মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশকিছু যাবৎ তিনি শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
পরিবার সুত্রে জানা যায়,তাঁর কিডনি সংক্রান্ত চিকিৎসা চলছিল। সুধীর বাবুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণনগর শহরে নেমে আসে শোকের ছায়া। অতি সম্প্রতি মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণনগরের আরো এক কৃতি সন্তান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। সৌমিত্র বাবুর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন সুধীর বাবু। পর পর দুটি নক্ষত্রের পতনে স্বভাবতই কৃষ্ণনাগরিক বৃন্দের মনখারাপ। ১৯৩৪ সালের ১৯ সে সেপ্টেম্বর হাওড়া শিবপুরে সুধীর বাবুর জন্ম। কৃষ্ণনগর শহরে বসবাসের আগে দিগনগরে পৈতৃক নিবাসে বসবাস করতেন সুধীর বাবুরা। পড়াশোনা,কৃষ্ণনগর দেবনাথ স্কুল, কৃষ্ণনগর মহাবিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৫৮ সালে বড়িশা বিবেকানন্দ মহাবিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু এরপর কৃষ্ণনগর গভঃ কলেজে অধ্যাপনা এবং ৩৬ বছরের ছন্দময় কর্মজীবন। সুধীর বাবু বেশ কিছুদিন যাবৎ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে ও যুক্ত ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঞ্চাশের উর্দ্ধে। সুধীর বাবুর উল্লেখযোগ্য গ্ৰন্থ বাউল ফকির কথা, গভীর নির্জন পথে,পঞ্চ গ্ৰামের কড়চা, ব্রাত্য লোকায়ত লালন প্রভৃতি। এশিয়াটিক সোসাইটি থেকে স্বর্ণ পদক সহ সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার, শিরোমণি পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, আচার্য দীনেশ চন্দ্র সেন পুরস্কার,সরোজ নলিনী বসু স্বর্ণ পদক সহ অসংখ্য পুরস্কার তার ডালিতে সাজানো আছে।