লকডাউনে আর্থিক সমস্যায় মিউজিশিয়ানরা, পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী আসানসোলের গায়ক সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়

শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: লকডাউনের কারণে কার্যত প্রায় রুটিরুজিহীন মিউজিশিয়ানরা। তারমধ্যে অনেকেই আর্থিক সমস্যাতেও পড়েছেন। এবার সেইসব মিউজিশিয়ানদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোগী হলেন আসানসোলের গায়ক সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
বাবুল সুপ্রিয় নিজে একজন সঙ্গীত শিল্পী। তাই এবার তিনি রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে পেশার তাগিদে আসানসোলের “ টিম বাবুল বিজেপি ”কে দায়িত্ব দিলেন আসানসোলের প্রফেশনাল বা পেশাগত মিউজিয়াশনদের তালিকা তৈরি করতে। এই ধরনের মিউজিশিয়ানরা বিভিন্ন দল বা অর্কেস্ট্রায় বছরভর গান গেয়ে বা বাজনা বাজিয়ে টাকা আয় করেন। তাদের নিয়ে একটা কো-অপারেটিভ তৈরি করে, সেখান থেকে আর্থিক সাহায্য করার প্রস্তাব দেন।
বিজেপির অনলাইন বা ভার্চুয়াল দলীয় বৈঠকে সদ্য দায়িত্ব পাওয়া রাজ্য নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের সঙ্গে আলোচনাতে এমন কথা তোলেন বাবুল। এই প্রসঙ্গেই আসানসোলে বিজেপির আইটি সেলের দায়িত্বে থাকা দলের নেতা অভিজিত রায়ের প্রসঙ্গটি অগ্নিমিত্রা পলের সামনে তুলে ধরেন বাবুল।
লকডাউনে যে মিউজিশিয়ান, লাইটম্যান, মাইকম্যান, টেকনিশিয়ানরা চরমভাবে সমস্যায় রয়েছেন, তাদেরকে সর্বোতভাবে পাশে থাকার জন্য অন্য শিল্পীদের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন বাবুল।
বাবুল সুপ্রিয় জানান, আমি শিল্পীদের কাছে আবেদন করছি এই পরিস্থিতিতে সবাইকে এগিয়ে আসার জন্য। চ্যারিটি বিগিনস্ অ্যাট হোম বা ঘরের কথা ভেবে, যেসব সংগীতশিল্পীরা রয়েছেন তারা সবাই মিলে একটা ফান্ড তৈরি করুন। সেই ফান্ডে একটা অনুদান ঠিক করে দেওয়া হোক। সেই টাকা সবাইকে দিতে হবে। গায়ক ও গায়িকারা তাদের ক্ষমতা মত অনুদান দেবেন। আর সেখান থেকেই মিউজশিয়ানদের সাহায্য করা হবে।
বাবুল আরও বলেন, কোনও অনুষ্ঠান করে যে টাকা পাওয়া যায়, তার থেকে তো ৭০/ ৭৫ শতাংশ আর্টিস্ট বা শিল্পী নিয়ে যান। বাকি টাকা মিউজশিয়ান, লাইটম্যান, মাইকম্যানরা ভাগ করে পান। তাই এই একটা সংকটের সময়ে শিল্পীদেরই একটি ফান্ড তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ।
কলকাতার শিল্পীদের কাছে আবেদন রাখার পাশাপাশি আসানসোলের মিউজশিয়ানদের একটা তালিকা করতে বলেছেন বাবুল সুপ্রিয় ৷ মিউজশিয়ানরাও বাবুল সুপ্রিয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তার প্রশংসা করেছেন।