টিভি নয়, আগে ডিজিটাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করা হোক, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি কেন্দ্রের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমেরও আগে ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম নিয়ে বেশি সতর্ক হতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ ডিজিটাল মিডিয়ার প্রভাব আজকের জমানায় অনেক বেশি। ফলে তার স্বচ্ছতা ও মান রক্ষিত হচ্ছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব অনেক বেশি আইনের। সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে চলা একটি মামলার শুনানিতে এদিন একথা আদালতে জানায় কেন্দ্র সরকার।
সম্প্রতি সুদর্শন টিভির একটি অনুষ্ঠানের দু’টি পর্ব বন্ধ করে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানায়, এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত বলে মুসলিম সমাজের মর্যাদাহানি হবে। এদিন সেই মামলারই শুনানি। এই শুনানির আগে একটি বিবৃতি দিয়ে কেন্দ্র বলছে, আদালতের উচিত আগে ডিজিটাল মিডিয়ায় গতিবিধিতে নজরদারি চালানো। কারণ তার পরিধি গত কয়েক বছরে অনেক বড় হয়েছে। “ডিজিটাল মিডিয়া ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপোর দৌলতে অনেক দূর ছড়িয়েছে। সহজেই ভাইরাল হচ্ছে ডিজিটাল কন্টেন্ট। তাই আদালতের উচিত সেই বিষয়ে আলাদা করে নজর দেওয়া,” লেখা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
সরকারি প্রতিনিধি আরও বলছেন, প্রিন্ট মিডিয়া ও বৈদ্যুতিন মিডিয়ায় যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়ে ও বিচার করে তবে কোনও খবর প্রকাশ করা হয়। কিন্তু একই সঙ্গে বাক্ স্বাধীনতা এবং ভারসাম্য রক্ষাকারী সাংবাদিকতা বজায় রাখার জন্য ইতিমধ্যেই নিয়ামক সংস্থাগুলি সচেষ্ট। সরকার পক্ষের আরও দাবি, কী দেখানো যাবে কী দেখানো যাবে না গাইডলাইন স্থির করার জন্য একটি প্যানেল তৈরি করে দিক সুপ্রিম কোর্টই।
আরও পড়ুন: দেবী দুর্গার কাছে করোনা মুক্তির জন্য শক্তি চাইলেন প্রধানমন্ত্রী, টুইট করে মহালয়ার শুভেচ্ছা মোদির
আইনজীবি প্রশান্ত ভূষণের মতে, কেন্দ্র কিংবা রাজ্য কোনও সরকারই চায় না নিজের অপছন্দের খবর প্রকাশ্যে আসুক। সংবাদপত্র কিংবা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অনেক ক্ষেত্রেই এখন সেই নিয়ন্ত্রণ সীমা লঙ্ঘিত করছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় তা এখনই সম্ভব নয়। তাই ভুয়ো কেস দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে একাধিক মানুষকে। সেই কারণে কেন্দ্র যতই এই নিয়ম আনুক, সব রাজ্যও চায় এই নিয়ন্ত্রণ থাক সোশ্যাল মিডিয়ার উপর।
১৫ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ওই টেলিভিশন চ্যানেলের আইনজীবী জানান অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হচ্ছে সমস্ত বিধি মেনে।তাতে অবশ্য বরফ গলেনি। বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি ইন্দু মলহোত্রা এবং বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চ জানায় প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যা দেখানো হচ্ছে তা মুসলিম সমাজের প্রতি অবমাননাকর। একই সঙ্গে পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক নিয়ে একটি কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেয় আদালত। এই কমিটির কাজ হবে বৈদ্যুতিন মাধ্যমের জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করা। সরকারি প্রতিনিধি এখন বলছেন, এই ছাঁকনি বা গাইডলাইন সবার আগে প্রয়োজন ডিজিটাল মাধ্যমে।