
যুগশঙ্খ প্রতিবেদন, কাটলিছড়া: কাটলিছড়ার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দ্বিতলের তিনটি জানালার গ্রিল, গ্লাস ভেঙ্গে আবাসিকরা পালিয়ে যাওয়ার চেস্টার খবরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ভবনের গ্রিল, গ্লাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটলেও কোন আবাসিক পালিয়ে যাননি বলে প্রশাসনিক সুত্রে জানা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ তদন্তে নামলেও ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের এখন পর্যন্ত শনাক্ত করতে পারেনি। এঘটনার পর পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে।কারা বেপরোয়া হয়ে এভাবে ভাঙচুর করেছে তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, নিম্নমানের খাদ্য নিয়েই তাদের মধ্যে পুঞ্জিভূত ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে এদিন। তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। এবং একসময় একাংশ আবাসিক ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে গ্রিল ভেঙ্গে ফেলেন। এদিকে এঘটনার পর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের তত্বাবধায়ক সরকারি কর্মীরা শংকিত হয়ে পড়ে দ্রুত জেলা প্রশাসনের কাছে খবর পাঠান। পলিটেকনিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের তত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সরকারি কর্মীরা জানান, শনিবার সকালে সেন্টারের ভিতরে বিকট শব্দ শুনতে পান। তখন বাইরে থাকা নিরাপত্তা কর্মীরা দ্রুত দ্বিতীয় মহলায় ছুটে যান এবং দেখতে পান করিডোরের কাছে দেওয়ালের জানালা থেকে গ্রিল আলাদা করে রাখা এবং গ্লাস মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এসম্পর্কে আবাসিক পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে জবাবদিহি করা হলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: যুব তৃণমূল ও এসইউসিআই সংঘর্ষে উত্তপ্ত মৈপিঠ, নিহত ২
জানা গেছে, বর্তমানে ওই কোয়ারান্টাইন সেন্টারে ১৬৫ জন পরিযায়ী শ্রমিককে আবাসিক হিসেবে রাখা হয়েছে। সেন্টারের ইনচার্জ ডাঃ মানিক গুপ্ত জানান, এঘটনার পর বিষয়টি সাথে সাথেই জেলা উপায়ুক্ত, মহকুমাশাসক কে অবহিত করা হলে কাটলিছড়ার ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক জেমস আইন্ড ঘটনাস্থলে ছুটে এসে খোঁজ খবর নেন। অন্যদিকে আবাসিকরা যাতে অবাধে মেলামেশা করতে না পারে সে জন্য স্থানে স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহের দাবিতে এদিন আবাসিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে এ ঘটনা ঘটালেও তবে কেউ পালিয়ে যাওয়ার চেস্টা করে নি বলে সেন্টার সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কাটলিছড়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউশনের নির্মান কাজ শেষ হওবার আগেই জেলা প্রশাসন ওই ভবনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে বানিয়ে দেয়। কাটলিছড়া থানার ওসি নির্মল,চন্দ্র বিশ্বাস গ্রিল ভেঙে ফেলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন , কারা একাজ করেছে তা এখনো সনাক্ত করা হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা প্রশাসন ঠিক করবে।