দুই হাতে আদিবাসী রমণী রুপে কাঁথি আউটডোর মোড়ে “মা হঠাৎ কালী”

মিলন পণ্ডা, (পূর্ব মেদিনীপুর): জাকজমক নয় ভক্তি ভরে মায়ের পুজো এখানকার বৈশিষ্ট্য। শব্দ দূষন বিহীন এই পুজো গুটিগুটি পায়ে এবার চতুর্থ বর্ষের পদার্পণ করল। দুই হাতের এখানাকার কালী মা রীতিমতো জাগ্রত বলে জন মানুষের প্রচার। কাঁথি মহকুমার বহু মানুষ এখানকার পুজোয় মানত করে থাকেন। রাতভর পুজো ও যজ্ঞ অনুষ্ঠান দেখতে ছোট থেকে বড় বহু ” মা হঠাৎ কালী ” ভক্তরা এই পুজো প্যান্ডেলের ভিড় জমান।
এখানের নর-নারী নির্বিশেষে মায়ের আরাধনা করে থাকেন। এবার পাটকাঠির মণ্ডপ শয্যা ও দুই হাতের আদিবাসী রমণী রুপে পূজিতা ” মা হঠাৎ কালী ” পুজো রীতিমতো সাড়া ফেলেছে কাঁথি মহকুমা জুড়ে। কাঁথির আউটডোর মোড়ে এই পুজো দেখতে ও নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে বহু মানুষ ভিড় জমান। করোনা আবহেও এখানকার মায়ের ভক্তদের সমাগম ছিল রীতিমতো চোখে পড়ার মত। শনিবার সকালে কাঁথি দমকলের পক্ষ থেকে পুজো মণ্ডপ ও সংলগ্ন এলাকায় পুরোটাই স্যানিটাইজার করা হয়। সন্ধ্যায় কাঁথির পৌরসভার কাউন্সিলার তরুন কুমার বেরা প্রদীপ প্রজ্জলন করে ২০২০ বর্ষের হঠাৎ কালী পুজোর শুভ উদ্ধোধন করেন।
অন্যতম পুজো উদ্যোক্তার মধ্যে একজন ভক্ত প্রনব মিশ্র বলেন, মায়ের ভক্তি ভরে নিষ্ঠার সঙ্গে আরাধনা এখানকার পুজো অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মায়ের কৃপায় এখানকার পুজোর বহু ভক্ত বৃন্দ নানা উপাচার দান করে থাকেন। করোনা আবহে ও শহিদদের প্রতি সমবেদনা জানাতে এখানকার পুজোতে কোনওরকমের সাউন্ড বক্সের ব্যবহার করা হয়নি। পুজোর পর ভক্তদের মায়ের ভোগ বিতরন করা হয়। পুজো পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অন্যতম ভক্ত চন্দ্রশেখর দাস, কুহিলি রায় বোস, সঞ্জয় জানা, শান্তনু বেরা প্রমূখ।