ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ ম্যাকরনের

প্যারিস: ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন । আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন আয়োজনে ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি তার শ্রদ্ধার বিষয়টি প্রকাশ করেন। অনুশোচনার সুরে এসময় ম্যাকরন বলেন, ‘ইসলাম ধর্ম বা মুসলমানদের অবমাননা করার কোনো অভিপ্রায় তার ছিল না। তিনি শুধু ইসলাম ও মুসলিম বিশ্ব থেকে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে আলাদা করে দেখতে চান। ইসলাম ও মুসলিম বিশ্বের প্রতি তার সম্মান রয়েছে।’ তবে এসময় ফিলিস্তিন স্বশাসন কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘সবার উচিত সব ধর্ম এবং ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের প্রতি সম্মান দেখানো। সেইসঙ্গে কেউ যাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মাদ সহ কোনো ঐশী ধর্মের নবীর অবমাননা না করে সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।’
উল্লেখ্য, ম্যাকরন সম্প্রতি এক বক্তব্যে বলেন, ফ্রান্সে হজরত মুহাম্মদের ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ চলবে। তার এই অবমাননাকর বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে। হজরত মুহাম্মদকে অপমানের জবাবে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। দেশে দেশ ছড়িয়ে পড়ে ফ্রান্স বয়কটের ডাক। এমনকি, ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিও ওঠে অনেক জায়গায়। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে সম্প্রতি তার বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান ফরাসি প্রেসিডেন্ট। কিন্তু এজন্য তিনি অনুশোচনা, দুঃখ প্রকাশ বা মুসলিম বিশ্বের কাছে ক্ষমা চাননি। একধাপ এগিয়ে তিনি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন।
মূলত, এই ঘটনার সুত্রপাত হয়, যখন শিক্ষার্থীদের বাক-স্বাধীনতা বোঝানোর নামে হজরত মুহাম্মদের ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন করেন ফ্রান্সের এক স্কুল শিক্ষক। আর ওই শিক্ষককে আবদুল্লাখ আনজোরভ নামে এক যুবক হত্যা করে। পাল্টা হিসাবে পুলিশও আনজোরভকে গুলি করে হত্যা করে। এই ঘটনার পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হজরত মুহাম্মদের ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশকে বাক-স্বাধীনতা বলে মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে তিনি ফ্রান্সে এ ধরনের কার্টুন প্রকাশ অব্যাহত থাকবে বলে জানান। এবং ফ্রান্সের দু’টি সরকারি ভবনে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বড় করে সেই বিতর্কিত ছবি দেখানো হয়।