fbpx
কলকাতাগুরুত্বপূর্ণহেডলাইন

মহালয়ায় ভোরে বাঙালীর ঘুম ভাঙবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠে

শরণানন্দ দাস, কলকাতা: বৃহস্পতিবার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়েই জেগে উঠবে বাঙালি। ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জীর’ সেই চিরকেলে চেনা কণ্ঠে ‘ মহিষাসুর মর্দিনী’র স্তোত্রপাঠের মধ্য দিয়ে শিউলি ফোটা সকাল একটু একটু করে জেগে উঠবে। আকাশবাণী কলকাতা কেন্দ্রের প্রোগ্রাম হেড সুব্রত মজুমদার জানালেন, ‘ এ বছর ১৯৬৬ সালের রেকর্ডিং বাজবে। গত তিনবছর ধরে এই রেকর্ডিং শোনানো হচ্ছে।’ ঘটনা হলো শুরুর দিকে এই বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠানটি লাইভ সম্প্রচার হতো। পরে অনূষ্ঠানটি রেকর্ড করা হয়। এছাড়াও ১৯৭২ এ বিভিন্ন বছরের রেকর্ডিং নিয়ে সংকলিত হয়েছিল ‘ মহিষাসুর মর্দিনী’।

এবার অবশ্য দুবার মহালয়া। শাস্ত্রঞ্জরা জানাচ্ছেন, প্রতি বছর তিথি, নক্ষত্রের কিছু রদবদল হয়। কিন্তু সামাজিক জীবনে পুজো, অনুষ্ঠানের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। এবার আশ্বিন মাস মল মাস। মলমাসে কোন শুভ অনুষ্ঠান হয় না। তাই এবার মহালয়া দুবার। তাই প্রথমবারের মহালয়া থেকে দেবীর বোধনের মধ্যে একমাস ছ’ দিনের ব্যবধানে রয়েছে।

[আরও পড়ুন- আইনজীবী রজত দে হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন স্ত্রী অনিন্দিতার]

রেডিওর মহালয়া সম্প্রচার শেষ হলেই গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড় জমবে। পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ করবেন আম জনতা। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস মহালয়ার লগ্নে পিতৃপুরুষ জল নিতে আসেন। করোনার আবহেও চিরাচরিত রীতির বদল হবে না এবারেও।

রীতি মেনে কুমোরটুলিতেও দেবীর নেত্রদান হবে। মৃৎশিল্পীরা জানালেন, এবার যদিও হাতে মাসখানেকের সময় আছে তবু রীতি, পরম্পরাটাতো মানতে হবে। বিশ্বাস আর পরম্পরায় ভর করেই করোনা অতিমারিকে জয় করে দেবী পুজোয় ব্রতী বাঙালি। বাতাসে পুজোর গন্ধ এসেছে যে।

 

Related Articles

Back to top button
Close