মালদার বিলাসবহুল ‘পদসাথী’ হোটেল এবার পরিণত হল কোভিড হাসপাতালে

মিল্টন পাল, মালদা: মালদায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। আর যার ফলে চিকিৎসার জন্য রাজ্য সরকারের পথসাথীকে কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হল। অন্যদিকে মালদায় ফের চার মহিলা পুলিশ কর্মী সহ করোনায় আক্রান্ত হলেন ২৫ জন। বৃহস্পতিবার রাতের প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে ১২ জন মহিলা রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের বাড়ি ইংরেজবাজার শহর এবং গ্রামীণ এলাকায়। আক্রান্ত চার মহিলা পুলিশ কর্মীর থাকতেন মালদা পুলিশ লাইন আবাসনে। এছাড়াও ইংরেজবাজার ব্লকের সাটটারি এলাকার একটি গ্রামে একই পরিবারের বাবা, মা ও মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে পুরাতন মালদা ব্লকের কোভিড-১৯ হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত মালদায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৭। যদিও আক্রান্তদের মধ্যে ৩০২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
আরও পড়ুন:পুরভোট নয়, বিজেপির নিশানায় একুশ
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন মালদা ইংরেজবাজার , গাজোল, চাঁচোল ১, ২ ব্লকে মোট ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি ফের নতুন করে মালদা শহরের বালুচর এলাকায় আরও একজন যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে শহরের ঘিঞ্জি এলাকা হিসেবে পরিচিত বালুচরকে কন্টাইমেনট জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সংক্রামিত যারা হয়েছেন, সেই এলাকার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার পুরাতন মালদা ব্লকের বিডিও আক্রান্ত হওয়ার খবর জানাজানি হতেই সমস্ত সরকারি ভবন, থানা স্যানিটাইজারের কাজ শুরু করেছে দমকল দফতরের কর্মীরা।
আরও পড়ুন:মেড ইন চায়না: আর চাই না
মালদায় করোনা সংক্রমণ বাড়তেই তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ ও প্রশাসন। মাস্কবিহীন মানুষ রাস্তায় বেরোলেই ধরপাকড় করছে পুলিশ। মালদা শহরে শুক্রবার ২০ জনকে মাস্ক বিহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আটক করেছে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। অন্যদিকে পুরাতন মালদা শহরে একই ভাবে চারজনকে আটক করেছে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ।
এদিকে পুরাতন মালদার ব্লকের নারায়নপুর এলাকায় রাজ্য সরকারের উদ্যোগে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল “পথসাথী” খাবারের হোটেল। বিলাসবহুল এই “পথসাথী” হোটেল এখন করোনা হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। পুরাতন মালদার নারায়ণপুর এলাকায় প্রথমে যে ১০০ বেডের কোভিড-১৯ হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছিল, সেখানে রোগির সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ার কারণেই কি “পথসাথী” হোটেলকে কোভিড-১৯ হাসপাতলে পরিণত করা হয়েছে, এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ দেখা দিচ্ছে। সেই সব এলাকায় পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্যানিটেশনের কাজ শুরু করা হয়েছে। দমকল কর্মীদের দিয়ে বিভিন্ন অফিসে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই এলাকা সিল করা হচ্ছে।