‘চিন্তা নেই, লক্ষ লক্ষ নিয়োগ হবে এই বাংলায়’ যুবসমাজকে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে ভারচুয়াল সভা থেকে যুবপ্রজন্মের জন্য নয়া ঘোষণা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, ‘এবার থেকে প্রতি বছর সারা রাজ্য থেকে বাছাই করা ২০০ জন পড়ুয়াকে সিএমওতে কাজ করার জন্য নেওয়া হবে। প্রতিবছর এটা পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপ করার মতো হবে।তরুণ প্রজন্মকে বললেন, ‘চিন্তা নেই, লক্ষ লক্ষ নিয়োগ হবে এই বাংলায়।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাস কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে চাকুরীপ্রার্থী ও পড়ুয়াদের মনে।
‘লকডাউনের মধ্যেও পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার কমেছে। রাজ্যে প্রচুর চাকরি হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমার দফতরে কাজ করার পর এলাকায় এলাকায় গিয়ে এঁরা কাজ করবে। তাহলে মানুষের সঙ্গে কাজ করা, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি হাতেকলমে শিখে নেবে এঁরা। কারণ, ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যত্। আমি চাই তাঁরাই এগিয়ে আসুক। সেই কারণেই এই ভাবনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা মানুষকে সভ্য, সাংস্কৃতিক ও মানবিক করে তোলে।’করোনা মহামারী রুখে দেওয়া যাবে তবে তার আগে বিজেপিকে রুখতে হবে বলে জানান। কালা আইন দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র, বলেও জানান। একুশে দেশবাসীকে স্বাধীনতা ফেরাবেন বলে জানান মমতা ব্যানার্জি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজারহাটে সিলিকন হাব হচ্ছে। দেউচা-পাচামিতে খনি প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে। দিঘায় ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি হবে। সেখানে রিলায়েন্স লগ্নি করবে। এছাড়াও একাধিক প্রকল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। ফলে কর্মসংস্থান নিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ।’ এরপরই তিনি জানান, প্রতি বছর ২০০ পড়ুয়াকে সিএমও-তে নেওয়া হবে। পাশাপাশি, মানুষের পাশে দাঁড়াতে পড়ুয়াদের ইন্টার্নশিপও করানো হবে।
আরও পড়ুন: ‘পরীক্ষা নিয়ে ভোট রাজনীতি করা হচ্ছে’, NEET-JEE ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ মমতার
করোনার কারণে জমায়েত করা সম্ভব নয়। তাই চলতি বছরে একেবারে অন্যভাবেই পালিত হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। ২৮ আগস্ট, শুক্রবার ভারচুয়ালি বক্তব্য রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তোপ দাগলেন কেন্দ্রকে। সেখান থেকেই যুবপ্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘চাকরি নিয়ে কাউকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। লক্ষ-লক্ষ কর্মস্থান হবে বাংলায়।’ এদিন ভারচুয়াল সভা থেকে বেকারত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘যেখানে সব জায়গায় বেকারত্ব ৪২ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে বাংলায় বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। কারণ, আমরা কাজ করি, কাজ করাই। বিভিন্ন প্রকল্পের কাজে নিযুক্ত রয়েছেন বহু মানুষ।’
এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৫ অগস্ট, ২৬ জানুয়ারি, ২৫ বৈশাখ, ১২ জানুয়ারি, ২৩ জানুয়ারির মতো একাধিক দিন রয়েছে। আমরা এর পাশাপাশ, কন্যাশ্রী দিবস, মাটি দিবস, পুলিশ দিবস এগুলি চালু করেছি। এবার ছাত্রদের জন্যও একটি দিন এবার থেকে থাকবে। তা শুধুমাত্র ছাত্রদের জন্যই থাকবে।’ তিনি ঘোষণা করেন, আগামী বছর থেকে ৯ অগস্ট, রাজ্য জুড়ে ছাত্র দিবস পালন করা হবে। ওইদিন ছাত্ররা ভবিষ্যতের জন্য শপথ নেবেন। রাজ্যের কাজ করার জন্য, সমাজের কাজ করার জন্য। পাশাপাশি, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন তৃণমূলের সব সংগঠনের পক্ষ থেকে ব্লকে ব্লকে শিক্ষকদের সম্মান দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।