
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আনন্দপুর কাণ্ডের ‘সাহসিনী’ নীলাঞ্জলা চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার। সাহসিকতার জন্য শুভেচ্ছা জানালেন তাঁকে। আশ্বাস দিলেন পাশে থাকার। পাশাপাশি অনুজ শর্মা জানালেন, নীলাঞ্জনাদেবীর চিকিত্সার সমস্ত খরচ দেবে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে সিপি জানালেন তাঁর এই সাহসিকতার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালেই নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেন অনুজ শর্মা । খবর নেন তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির। দম্পতিকে অভিনন্দন জানান সেই রাতের ঘটনার জন্য। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের সিদ্ধান্ত ‘সাহসিনী’কে জানান পুলিশ কমিশনার। বলেন, তাঁর চিকিত্সার সমস্ত খরচ বহণ করবে রাজ্য, এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং তার দ্রুত পুনরুদ্ধার কামনা করেছেন তিনি। এদিন নীলাঞ্জনাদেবীর স্বামীর সঙ্গেও কথা বলেন সিপি। জানা গিয়েছে, এদিন ফোনের ওপার থেকেই অনুজ শর্মার কাছে ১০০ ডায়ালের প্রশংসা করেছেন নীলাঞ্জনাদেবীর স্বামী। সিপির ফোনে অনেকটাই ভরসা পেয়েছেন ওই প্রতিবাদী দম্পতি।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত ১২ টা নাগাদ ইএম বাইপাসে। ওই এলাকা দিয়ে সেই সময় গাড়ি করে পাস করছিলেন ওই প্রতিবাদী মহিলা। আর তখনই তারা দেখতে পান অন্য এক গাড়িতে এক মহিলা চিত্কার করছেন। তরুণীর আর্তনাদ শুনে এগিয়ে যান এক মহিলা। তখন ওই গাড়িচালক ধাক্কা দিয়ে তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয়। গাড়িটিকে ধরতে গেলে যে মহিলা তরুণীকে বাঁচাতে এসেছিল তার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় পলাতক চালক। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিত্সারত প্রতিবাদী মহিলা নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে আজ হাসপাতাল সূত্রে খবর, বার বার বমি হয়েছে নীলাঞ্জনার। মাথায় চোট লেগেছিল নীলাঞ্জনার। সেই চোট থেকে এমনটা হচ্ছে কিনা, তা দেখছেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা। আজ নীলাঞ্জনার স্ক্যান ও এক্সরে হয়েছে।
আড়ো পড়ুন: কঙ্গনাকে Y+ নিরাপত্তা দিয়ে অপচয় কেন? প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র
অন্যদিকে, এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের আসল নাম অভিষেক পাণ্ডা। বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল তার। বিয়ের আট মাস পর থেকেই স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে সে। বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন ওই বধূ। এরপরই পঞ্চসায়রের তরুণীর সঙ্গে পরিচয় অমিতাভ ওরফে অভিষেকের। তরুণীর মায়ের কথায়, চলতি বছরেই অমিতাভের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ের কথা ছিল। তাঁর আগেই এই ঘটনা। এর পাশাপাশি জানা গিয়েছে, ওই তরুণী এফআইআরে গোপন করেছিল অভিযুক্তের আসল নাম। সত্যি জানা সত্ত্বেও পুলিশকে জানিয়েছিলেন অভিযুক্তের নাম অমিতাভ বসু। কিন্তু কেন? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও অধরা তদন্তকারীদের কাছে।