যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: আজ ২২শে শ্রাবণ। রবীন্দ্রনাথ এক কথায় বলতে গেলে বাঙালি আবেগ। তাঁর মৃত্যুর পর কেটে গেছে সাত-আট দশক। কিন্তু এখনও প্রাসঙ্গিক তিনি ও তাঁর সৃষ্টিকর্ম। জীবনের প্রতিটি গল্প এবং সভ্যতার সংকটে তাঁর সরব উপস্থিতি। ভক্তরা মনে করেন পাঠ্যবইয়ের গণ্ডিতে রবীন্দ্রনাথকে আটকে না ফেলে, জীবনের বিশাল চৌহদ্দিতে আত্মস্ত করাই এখন সময়ের দাবি।ছোট থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার লেখায় অনুপ্রানিত করেছে বাঙালিকে। তিনি সাহিত্যের সব শাখাতে দোর্দণ্ড প্রতাপে বিচরণ করলেও তার প্রথম ও শেষ পরিচয় তিনি ‘কবি। এইদিনটিতেই আমাদের ছেড়ে অমৃতকোলে গমন করেছিলেন বিশ্বকবি। যদিও আজও তিনি রয়ে গিয়েছেন বাঙালির নিত্যদিনের চিন্তনে মননে। আজও তিনি বাংলার রবি, বাঙালির কবি। দেশজুড়েই এদিন তাঁকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন রবীন্দ্রানুরাগীরা। করোনা আবহে কোনও জমায়েত না হলেও শান্তিনিকেতন ও রবীন্দ্রভারতী উভয় জায়গাতেই এদিন ছোট করে হলেও কবির প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকেই। এদিন সকালেই বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে টুইটে করে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে…
আজ বাইশে শ্রাবণ। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। বিশ্বকবিকে জানাই আমার অন্তরের প্রণাম। ওনার জীবনদর্শন আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক।— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 7, 2020
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে কেরলে ভূমিধস, ৮০ জন শ্রমিকের আটকে থাকার আশঙ্কা! জারি কমলা সতর্কতা
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘জীবন মরণের সীমানা ছাড়ায়ে, বন্ধু হে আমার রয়েছ দাঁড়ায়ে… আজ বাইশে শ্রাবণ। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস। বিশ্বকবিকে জানাই আমার অন্তরের প্রণাম। ওনার জীবনদর্শন আমাদের পাথেয় হয়ে উঠুক।’ কবিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছে অনান্য বিশিষ্টজনেরাও। প্রতিবছর এই দিনে রাজ্য জুড়ে কবির স্মরণে নানা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। কিন্তু এবারে এই করোনা কালে সেই সব অনুষ্ঠানে কার্যত দাঁড়ি পড়ে গিয়েছে। তবে ঘরোয়া ভাবে অনেকেই কবিকে নিজের নিজের মতো করে স্মরণ করছে।