মমতা বন্দোপাধ্যাইয়ের হিটলারি ও স্বৈরাচারী শাসক, আক্রমন বিজেপি নেতার রাজু বন্দোপাধ্যায়ের

শুভেন্দু বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল: বাংলায় কোন গণতন্ত্র নেই। পুলিশ সাধারণ মানুষদের গুলি করে মারছে। তৃণমুল কংগ্রেসের নেতাদের কথায় পুলিশ ও রাজ্য সরকার চলছে। আমাদের দলের নেতা ও কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। ৬ মাসের মধ্যে আমরা ক্ষমতায় আসতে চলেছি। তখন এইসব কিছুর বদলা নেব। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবেনা। সে যত বড়োই নেতা ও আইপিএস অফিসার হোন না কেন। শুক্রবার সকালে আসানসোলের বিএনআরে রবীন্দ্রভবনের সামনে বিজেপির আসানসোল জেলা কমিটির ডাকে “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও, তৃণমুলের গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, মহামিছিল ও অবস্থান আন্দোলন থেকে তৃণমুল কংগ্রেসের নেতা ও পুলিশকে এমনই হুঁশিয়ারি ও হুমকি দিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দোপাধ্যায়।
বিজেপির এদিনের আন্দোলন ঘিরে যাতে কোন রকম অশান্তি না হয়, তারজন্য আসানসোলের জিটি রোড ও বিএনআর সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এদিনের অবস্থান বিক্ষোভে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন আসানসোল জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই , রাজ্য যুবমোর্চার সম্পাদক বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, এসএন লম্বা,শংকর চৌধুরী, সুব্রত মিশ্র, সুদীপ চৌধুরী ও আসানসোল পুরনিগমের কাউন্সিলর তথা মহিলা মোর্চার সভানেত্রী আশা শর্মা।
[আরও পড়ুন- ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে পঁচিশ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি]
বিএনআরের অবস্থান থেকে বিজেপির একটি মহামিছিল আসানসোল আদালত চত্বরে আসানসোলের মহকুমাশাসক দফতর পর্যন্ত যায়। সেখানে গেটের সামনে অবস্থানে বসে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী ও নেতারা। এরপর বিজেপির ৫ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসানসোলের মহকুমাশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়৷
এদিনের বিক্ষোভ থেকে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও রাজ্য সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিজেপির রাজ্য নেতা বলেন, মমতা বন্দোপাধ্যায় হিটলারি ও স্বৈরাচারী শাসক। তার সরকার থেকে বাংলার মানুষেরা এখন পরিত্রাণ চাইছেন। এখানে তৃণমুল কংগ্রেস ও পুলিশ এবং তৃণমুল কংগ্রেস ও সরকার এক হয়ে গেছে। আমরাই বাংলায় গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনব। এদিনের বিক্ষোভ থেকে রাজ্য পুলিশকে তুলোধোনা করে রাজু বন্দোপাধ্যায় বলেন, কত মিথ্যা মামলা দেবেন। আমরা তাতে ভয় পাইনা।
আসানসোল পুরনিগমের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে তিনি বলেন, আসানসোলের মেয়র একজন মাফিয়া। ক্ষমতা থাকলে পুলিশ তার বিরুদ্ধে মামলা করুক। তার নামে তো খুনের অভিযোগ আছে। এদিন বিজেপির নেতাদের তৃণমূলে যোগদানের বিষয়ে মেয়র মন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন যে, আগে নিজেদের ঘর আগে সামলান। মন্ত্রী ও মেয়রের কি সম্পর্ক তা সবার জানা।