অভিনব এক ভাবনাকে সামনে রেখে মানব পুজা অনুষ্ঠিত হল দিনহাটায়

নিজস্ব সংবাদদাতা দিনহাটা : দুর্গাপূজা থেকে ভাইফোঁটা নানা অনুষ্ঠানের পর অভিনব এক ভাবনাকে সামনে রেখে মানব পুজা অনুষ্ঠিত হল দিনহাটায় । এই পুজার মধ্যে দিয়ে অসহায় দুস্থদের পাদপদ্যে বসিয়ে স্বামী বিবেকানন্দের সেই ভাবনা জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর – একে বাস্তবে রুপ দিল দিনহাটার বয়েজ রিক্রিয়েশন ক্লাব ও গোল্ডেন ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট । ক্লাব প্রাঙ্গণে অভিনব এই মানব পুজোর আয়োজন করা হয় শনিবার ।
এদিনের এই মানব পুজার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালের সুপার রঞ্জিত মন্ডল, ডাঃ অজয় মণ্ডল , ক্রীড়াবীদ চন্দন সেনগুপ্ত ,শিক্ষক জয়দীপ সরকার, বিশ্বনাথ দেব, চিত্রশিল্পী প্রসেঞ্জিত ভৌমিক, সমাজকর্মী মৌমিতা ভট্টাচার্য, হীরক চাকী, বয়েজ রিক্রিয়েশন ক্লাবের সভাপতি কালিপদ পাল,প্রাক্তন সম্পাদক গোকুল সরকার , সজল সাহা প্রমূখ।“দেবতা নেই মন্দিরে , খোঁজ তারে অন্তরে ”এমনই এক অভিনব ভাবনাকে সামনে তুলে ধরে বর্তমান সমাজে যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে কোন ক্রমে দিন গুজরান করেন অসহায় এই মানুষ গুলিকে পাদপদ্যে বসিয়ে রীতিমতো কপালে চন্দনের ফোঁটা , গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে দেবতুল্যে পুজো করা হয়। এদিনের এই মানব পুজার অনুষ্ঠানে কাঁসর,ঘন্টা,শঙ্খ থেকে উলুধবনি কোন কিছুরই খামতি ছিল না পুজোর উপকরণে।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হাসপাতালের সুপার ডাঃ রঞ্জিত মন্ডল , ডাঃ অজয় মণ্ডল থেকে শুরু করে উপস্থিত প্রায় সকলেই সংশ্লিষ্ট ক্লাবের অভিনব এই উদ্যগের প্রশংসা করেন । উপস্থিত বিশিষ্টরা বলেন সমাজে যত বেশী এধরনের অনুষ্ঠান হবে সমাজ তত বেশী এগিয়ে যাবে। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা শীল হওয়ায় যে মানসিকতা আজকের সমাজে কিছুটা হলেও কমতি দেখা গেলেও এধরনের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সেটা অনেকটাই বেশী আটুট করবে । পাশাপাশি সম্প্রীতির মেল বন্ধন তৈরি করবে বলে উল্লেখ করেন অনেকেই । সংশ্লিষ্ট ক্লাব ও ট্রাষ্ট আয়োজিত এই মানব পুজো এবছর নবম বর্ষ বলে ক্লাব সম্পাদক অর্ঘ্য কমল সরকার জানান । তিনি বলেন মানুষের মধ্যেই দেবতা এই ভাবনাকে তুলে ধরতেই করোনা আবহের মধ্যেও দুস্থ মানুষদের দেবতুল্যে পুজো ও তাদের দ্বিপাহারিক আহারের ব্যবস্থা করা ছারাও তাদের হাতে শীত বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়। অভিনব এই মানব পুজোর মধ্যে দিয়ে ক্লাব প্রাঙ্গণ যেন তীর্থ ক্ষেত্র হয়ে উঠে। অনুষ্ঠানে দুঃস্থ অসহায় মানুষ গুলিকে ক্লাবের পক্ষ থেকে দেবতার আসনে বসিয়ে পুজো দেওয়ার পর তারা যেন অভিভূত হয়ে পড়েন।