fbpx
অসমহেডলাইন

মিটল সমস্যা, মণিপুরে ক্ষমতা ধরে রাখছে বিজেপিই!

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: হঠাৎ করে রাজনৈতিক পালাবদলের হাওয়া শুরু হয় মনিপুরে। ক্ষমতায় থাকা বিজেপি এবং এনপিপি জোট সরকারের মধ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ভাঙন দেখা যায়।বিজেপির মতো তাঁরাও শুরু করে দিয়েছিল ঘোড়া কেনাবেচা। পরিস্থিতি সামাল দিতে মনিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা উড়ে গিয়েছিল দিল্লিতে।অবশেষে দিনকয়েক ধরে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে লাগাতার বৈঠকের পর জট কাটল মনিপুরের।ফলে মণিপুরে বিজেপির হাত থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে নেওয়ার যে স্বপ্ন কংগ্রেস দেখেছিল, তা অধরাই থাকতে চলেছে। আর এর নেপথ্যে বিজেপির দুই চাণক্য। প্রথমজন অবশ্যই অমিত শাহ, যাকে গোটা ভারতের রাজনীতির চাণক্য বলা হয়। আর দ্বিতীয়জন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উত্তরপূর্ব ভারতে এনডিএ জোটের কনভেনার হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

এই দুই নেতার হস্তক্ষেপে মণিপুরে আপাতত ক্ষমতা ধরে রাখা নিশ্চিত করল বিজেপি। উত্তরপূর্বের এই ছোট রাজ্যে হঠাত রাজনৈতিক ডামাডোল তৈরি হয় এনপিপির চার, তৃণমূলের এক এবং এক নির্দল বিধায়ক সরকারের উপর থেকে সমর্থন তুলে নিলে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষোভপ্রকাশ করে দল ছাড়েন তিন বিজেপি বিধায়কও। এই ৯ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ইবোবি সিংয়ের নেতৃত্বে সরকার গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস। বেগতিক বুঝে তড়িঘড়ি আসরে নামেন অমিত শাহ । দ্রুত মণিপুর পাঠান নিজের বিশ্বস্ত সৈনিক হিমন্তকে। যার হস্তক্ষেপে দ্রুত জট কাটার ইঙ্গিত মেলে। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হন বিদ্রোহী বিধায়করা। দ্রুত তাঁদের মণিপুর থেকে গুয়াহাটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপরই গতকাল অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বিজেপির দাবি, দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিক্ষুব্ধ চার বিধায়কের দাবি মেনে নিয়েছে। এবং ওই চার বিধায়ক এনডিএ তেই থাকবেন।

আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশের কুশীনগর বিমানবন্দরকে International Airport-এ উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন কেন্দ্রের

অন্যদিকে অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা উত্তর পূর্ব ভারতের বিজেপির ক্রাইসিস ম্যানেজার এদিন টুইট করে জানান, যে বিধায়করা দলত্যাগের কথা ভাবছিলেন, তাঁরা আপাতত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পরেই মনিপুরের সমস্যার সমাধান ঘটেছে।

Related Articles

Back to top button
Close