অভিনব শাস্তি, অসচেতন ব্যক্তিদের দিয়েই করোনা সচেতনতার প্রচার করালো মন্তেশ্বর পুলিশ!
অভিষেক চৌধুরী,কালনা: অসচেতন ব্যক্তিদের সচেতন করাতে তাদের হাতেই সচেতনতা প্রচারের মাইক তুলে দিল পুলিশ। আর কড়া রোদের উত্তাপে রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তাদের দিয়েই চালালো ঘন্টার পর ঘন্টা প্রচার। করোনায় সরকারী নির্দেশ অমান্যকারীদের সোমবার এইভাবেই অভিনব শাস্তি দিল পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
করোনায় সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে।তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সচেতনতায় দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন পুলিশ-প্রশাসন। তা সত্বেও কিছু মানুষের বেপোরোয়া আচরণ চিন্তিত করে তুলছে অনেককেই। তাই এইবার শুধু রাস্তায় নেমে সচেতনতাই নয় সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের হাতেনাতে ধরে তাদের দিয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা করোনা সচেতনতার প্রচার চালাতে বাধ্য করালেন পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। পুলিশ-প্রশাসন লাগাতার প্রচারও চালালেও অনেক মানুষ সচেতনই নন।মাস্ক ছাড়াই নির্বিকারভাবে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।শুধু তাই নয় সামাজিক দূরত্বটাও বজায় রাখছেন না তারা।এক সঙ্গেই গাদাগাদি করে মোটরবাইকে করে চলছে যাতায়াত।
তাই সোমবার মন্তেশ্বর থানার ওসি সৈকত মন্ডলের নেতৃত্বে মন্তেশ্বর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় টোটো,অটো ও অন্যান্য গাড়ির চালকদেরও হাতেনাতে ধরা হয়।যারা মাস্ক না পড়েই গাড়ি চালাচ্ছেন ও অযথা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের মধ্যেই বেশ কয়েকজনকে এইদিন হাতেনাতে ধরে তাদের দিয়েই রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে পুলিশের মাইকেই ঘন্টার পর ঘন্টা সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে করোনা সচেতনতার প্রচার চালাতে বাধ্য করান।
পুলিশের পক্ষ থেকে এইদিন কড়া বার্তার পাশাপাশি মাস্ক না পড়া ব্যক্তিদের দোকানে মাস্ক কিনতে বাধ্যও করা হয়।পুলিশের মাইক নিয়েই প্রচার করা সঞ্জয় দাস নামে এক যুবক বলেন, ‘সকালে রাউৎগ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে মন্তেশ্বরে যাই।একটি মোটরবাইকে তিনজন ছিলাম।সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার জন্যই শাস্তি হিসাবে পুলিশ আমাকে দিয়েই তাদের মাইকে প্রচার করতে বলে। রোদে গরমে বেশ কয়েক ঘন্টা প্রচার করার পরেই নিজের ভুলটা বুঝতে পারলাম। কারণ পুলিশ আমাদের সকলের জন্যই অক্লান্ত পরিশ্রম করে একদিকে যেমন প্রচার করছেন তেমনি অন্য সমস্যারও সমাধান করছেন। এই পরিস্থিতিটা আমার ক্ষেত্রে তৈরী না হলে হয়তো কোনদিনই পুলিশের কষ্টটা বুঝতাম না।তাই আমি এই ঘটনার জন্য নিজেও লজ্জিত।’