
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্সবের মরসুম শেষ হতে না হতেই করোনা সংক্রমণ হঠাত্ করে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছে। রাতারাতি বেড়ে গিয়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। যখন গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও এলাকায় প্রতিদিন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছিল, তখন গুজরাটের আমেদাবাদের আক্রান্তের সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ ১৩০। কিন্তু সেই সংখ্যাই এবার একলাফে ২০০-তে পৌঁছে গেল। অশনিসংকেত পেয়ে আর দেরি করেনি প্রশাসন।করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার তাই সেখানে ৫৭ ঘণ্টার ‘সম্পূর্ণ কারফিউে’র ডাক দিল প্রশাসন। শুক্রবার রাত ন’টা থেকে শুরু হচ্ছে সেই কারফিউ । চলবে সোমবার ভোর ছ’টা পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙতে বৃহস্পতিবার অনেক রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (বন ও পরিবেশ) রাজীবকুমার গুপ্তা টুইটারে ওই কারফিউয়ের বিষয়ে ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, কেবল দুধ আর ওষুধের দোকান ছাড়া আর সব কিছু বন্ধ থাকবে ওই সময়কালে। তবে সোমবার ভোরে কারফিউ উঠে গেলেও তারপর থেকে জারি থাকবে নাইট কারফিউ। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাত ন’টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত রোজই চলবে কারফিউ।
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িক বিভাজনই লক্ষ্য মিমের: অধীর
নভেম্বরের গোড়া থেকেই করোনার প্রকোপ বেড়েছে আহমেদাবাদে। গুজরাটের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ২৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এখানে। শহরে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২,৮৪৫। প্রশাসন তাই করোনা রুখতে কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। রাজীবকুমার গুপ্তা জানাচ্ছেন, যেভাবে উৎসবের মরশুমে দোকান, বাজার ও অন্যত্র বিপুল সংখ্যায় মানুষকে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণকে রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে কোভিড বেডের সংখ্যাও। রাতারাতি বাড়ানো হয়েছে ১,৩০০ বেড। ফলে শহরে মোট কোভিড বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৮০০।