যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন চলাকালীন ঘূর্ণিঝড় আমফান এর আক্রমণে বই পাড়া প্রায় শেষ। এশিয়ার বৃহত্তম বই পাড়া কলেজ স্ট্রিটকে বাঁচানোর তাগিদে সম্প্রতি বই পড়ার একটি সংগঠন বাদে অন্য ৮টি সংগঠন একত্রিত হয়ে বঙ্গীয় প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতা সভার সভা গৃহে মিলিত হয়।
প্রতি সংগঠন থেকে দু জন করে প্রতিনিধি নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হয়, কমিটির নাম “বই পাড়া রক্ষা কমিটি”। সেইসঙ্গে তারা একটি রিলিফ ফান্ড তৈরী করেছেন যার নাম ‘এবিপিএস আমফান রিলিফ ফান্ড’, এই নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। সারা বাংলা প্রকাশক কল্যাণ সমিতির সম্পাদক আজিজুল হক জানিয়েছেন, অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আইএফসি নম্বর অবিলম্বে সকলকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আমাদের মিটিং চলাকালীন অনেক বিশিষ্ট মানুষ এসেছিলেন তাঁরা অর্থের কোনো অসুবিধা হবে না বলে আস্বস্ত করেছেন। এই অর্থ বই পড়ার ক্ষতিগ্রস্থ প্রকাশক ও পুস্তক বিক্রেতাদের মধ্যে সরবরাহ করা হবে কমিটি র বিচার অনুযায়ী।
তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়ত আমাদের আলোচনার যেটা মূল দাবী ছিল সরকার এখন একটা কঠিন সময়ে র মধ্যে আছে ফলে সরকারের কাছে আমরা টাকা চাইছি না, আমাদের প্রকল্পের যে টাকা গুলো বিগত দু – তিন বছর ধরে সরকারের ঘর এ পড়ে আছে সেগুলো অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাহলেই এশিয়া র বৃহত্তম বই পাড়া কিছুটা প্রাণ ফিরে পাবে।’
প্রকল্প গুলি হল : ১. RRRLF-ফান্ডে – ২.৫ কোটি টাকা ২. মাদ্রাসা ডিপার্টমেন্টের – ২ কোটি টাকা ৩. স্কুল এডুকেশন দপ্তরের মাধ্যমে হিন্দু স্কুল এ বিজ্ঞাপন মারফত বই জমা নেওয়া হয় দেড় বছর আগে,,, সেখানে বই কেনা বাবদ – ২৯ কোটি টাকা ৪. সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে বই কেনা বাবদ ৫০ কোটি টাকা সব মিলিয়ে প্রায় ৮০-৮৫ কোটি টাকা যা কলেজ স্ট্রিটের বই পড়ার প্রাপ্য তা অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। তাহলেই বই পাড়া এই চরম দুর্দিনে কিছুটা অক্সিজেন পাবে। আমরা ৮টি সংগঠন মিলিত ভাবে চিঠির মারফত মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী র কাছে যৌথ আবেদন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রী এবং প্রয়োজনে ভারত সরকারে HRD ডিপার্টমেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীকেও আমরা এ বিষয়ে জানাবো। আশা করি সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় এশিয়া র বৃহত্তম বই পাড়া প্রাণ ফিরে পাবে এবং বই পাড়া র সঙ্গে যুক্ত ৪-৫ লক্ষ পরিবার রক্ষা পাবে।