আদিবাসী যুবকদের মারধরের অভিযোগ, ধৃত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য
জয়দেব লাহা, দুর্গাপুর: আদিবাসী যুবকদের মারধরের অভিযোগে ধরা পড়ল কাঁকসায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সহ ৩ জন। বৃহস্পতিবার ঘটনাকে ঘিরে বিস্তর শোরগোল পড়েছে শিল্পাঞ্চলে রাজনৈতিক মহলে। পাশাপাশি নিন্দার ঝড় উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম রমেন মন্ডল, ছোট্টু মিস্ত্রী, পঙ্কজ হালদার। সকলের বাড়ী কাঁকসার গোপালপুরে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের আসানসোলে জেলা আদালতে পেশ করে পুলিশ।
জানা গেছে, রমেন মন্ডল তৃণমূলের কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই গোপালপুর পঞ্চায়েতে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবী জানাতে গিয়েছিল এলাকার কয়েকজন অদিবাসী যুবক। অভিযোগ, ওই সময় পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিকদের সঙ্গে আদিবাসী যুবকদের বচসা হয়। সেখানে পঞ্চায়েতের গেট বন্ধ করে আদিবাসী যুবকদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
যদিও পঞ্চায়েতে প্রধান, আধিকারিককে মারধর ও ভাঙচুর করা হয় বলে পাল্টা অভিযোগ করেন গোপালপুর পঞ্চায়েতের প্রধান। ঘটনায় ওই দিন আদিবাসীদের বিক্ষোভকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে একহনকে গ্রেফতার করলে বিক্ষোভ তুলে নেয় আদিবাসীরা। এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চরম হুঁশিয়ারী দেয়। ওই ঘটনায় আদিবাসীদের মারধরে একটি ভিডিও ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওতে অভিযুক্ত রমেন মন্ডল এক যুবককে কাঠ দিয়ে মারধর করছেন। ছবি ভাইরাল হতেই শিল্পাঞ্চলজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।
বিজেপির পুর্ব বর্ধমান জেলা সহ সভাপতি রমন শর্মা জানান,” আদিবাসীদের বনবাসি বলা হয়ে থাকে। তারাই জঙ্গল রক্ষা করে। তাদের হেয় করা, মারধর করা কখনই উচিত নয়। এধরনের সংস্কৃতি তৃণমূলের। আগামী বিধানসভায় তাদের ওপর আক্রমনের জবাব রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায় দেবে বলে মনে করি।” যদিও কাঁকসা তৃণমূল নেতা দেবদাস বক্সী জানান,” অভিযোগে নাম থাকায় ধরা পড়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।”
বুধবার রাতে পুলিশ রমেন মন্ডল, ছোট্টু মিস্ত্রী ও পঙ্কজ হালদারকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার তাদের আসানসোল জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে এদিন আরও তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।”