পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভায় ‘বিজেপি পরিবার আমার পরিবার’ শ্লোগান নিয়ে চলছে সদস্য অভিযান

বাবলু ব্যানার্জি, কোলাঘাট: লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে এক লক্ষ সদস্য। লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দিনের পর দিন সদস্য অভিযানে ব্যস্ত কোলাঘাট বিজেপি নেতৃত্ব। ‘বিজেপি পরিবার আমার পরিবার’- এই স্লোগান নিয়ে কোলাঘাট ব্লকের যে চারটি মন্ডল রয়েছে কোন না কোন দিন সেই মন্ডল এর অধীনে অঞ্চলগত ভাবে নেতৃত্বরা যাচ্ছে পরিবারদের কাছে। এখনো পর্যন্ত যতটুকু খবর, নেতৃত্বরা যে অভিযান রাজ্য ও জেলা নেতৃত্বের নির্দেশক্রমে সূচনা করেছেন আজ থেকে এক সপ্তাহ আগে তাতে ভালো সারা পাওয়া যাচ্ছে বলে জানালেন পূর্ব পাঁশকুড়ার বিধানসভার সদস্য অভিযানের প্রমুখ দেবব্রত পট্টনায়েক। সদস্য অভিযান দ্রুত সম্পাদন করার জন্য ব্লকের চারটি মন্ডলে প্রমূখ ও সহ প্রমুখ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কর্মীদের। প্রতিটি পরিবারে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রসেনজিৎ মন্ডল , শিবু প্রামানিক , প্রদীপ মিদ্যা, দিনবন্ধু গুড়িয়া ,নবকুমার বক্তা, অলক বাগ ,মৃত্যুঞ্জয় ঘটক, সহদেব জানা সহ চারটি মন্ডলের সভাপতি বিবেক চক্রবর্তী, কৃষ্ণেন্দু দাস ,বিমল জানা ,বিশ্বনাথ রাম ,অভিযানের খামতি রাখতে চাইছেন না। খামতি রাখতে চাইছে না দলের অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকেও।
সংখ্যালঘু মোর্চার নেতা সেখ সাদ্দাম হোসেন বলেন, সদস্য অভিযানে তারা ও সঙ্গী হয়েছে। মানুষের ক্ষোভ বিক্ষোভের কথা শুনছেন সেই সঙ্গে’ বিজেপি পরিবার আমার পরিবারে ‘সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করছে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় মানুষজন। উল্লেখ করা যায় আগামী ২১ সালের নির্বাচনের আগে এই সদস্য অভিযানের গুরুত্ব অপরিসীম। রাজ্যে দিলীপ ঘোষ জেলার নবারুন নায়েক সদস্য অভিযানের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করে বিধানসভা ভিত্তিক অভিযান এর সূচনা করতে বলেন।সেই অভিযান শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই পূর্ব পাঁশকুড়া বিধানসভার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষজন গুরুত্বসহকারে রাজ্য ও জেলা নেতৃত্তের কথা শুনছেন। নেতৃত্ব দের অভয় দিচ্ছেন সঙ্গে আছি এগিয়ে যান। মানুষের এই অভয় বাণী শোনার পর নেতৃত্বরাও আশাবাদী তারা যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পথ চলতে শুরু করেছে তা হয়তো আগামী দিনে পূরণ হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে গ্রামীণ এলাকায় বিজেপি প্রসঙ্গে মানুষজন শাসকদলের নানা দুর্নীতি বিভিন্ন স্থানে খুন রাহাজানি থেকে শুরু করে আরো নানা ব্যর্থতার দিকগুলি বিজেপি নেতৃত্ব দের কাছে তুলে ধরছে, প্রকাশ্য সমালোচনা করছে শাসক দলের প্রতি। আরো বেশ কয়েকটি দিন আছে রাজ্য এবং জেলা যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।