
অভীক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা: ট্রেন চালু হলেও এখনও করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ রয়েছে স্কুল। দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ক্লাস চললেও স্কুল চালু হওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট সম্ভাবনা নেই। আর তার জেরেই বিপদে পড়ে গিয়েছেন স্কুল বাস মালিকরা এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরাও।
সেই কারণে স্কুল স্যানিটাইজ করে খোলার আবেদন জানিয়ে এবং স্কুল বাস পুনরায় চালু করার জন্য আবেদন জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শহরের রাস্তায় মিছিল করল স্কুল বাস সংগঠনগুলি। কালীঘাট পার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করেন ওয়েস্ট বেঙ্গল কন্ট্যাক্ট ক্যারেজ ওনার্স অ্যান্ড অপারেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। এদিন প্রায় ১৫ হাজার সদস্য রাস্তায় নেমেছিলেন। তাদের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তারা একটি চিঠিও দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওই সদস্যরা।
সংগঠনের দাবি, স্কুল বাসগুলির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কয়েক হাজার শ্রমিক। স্কুলের সঙ্গে যুক্ত থাকার ফলে তাদের বাস গণ পরিবহণে খাটানো সম্ভব নয়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন, যাতে স্কুল দ্রুত খোলার ব্যবস্থা করা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হোক। বাসে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেই বসানোর ব্যবস্থা করানো হবে। তার জন্যে প্রয়োজন হলে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। যতদিন না স্কুল খুলছে ততদিন স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বাস ফি বাবদ মাসিক শতকরা ৫০% টাকা যেন দেওয়া হয়। সেই টাকা না পেলে স্থায়ী কর্মচারীদের বেতন-সহ বাকি টাকা মেটানো যাচ্ছে না।
একই সঙ্গে তারা আরও দাবি জানিয়েছেন, গত ৮ মাস ধরে আর্থিক দুর্দশার মধ্যে কাটলেও রোড ট্যাক্স না দিতে পারার জন্য ফাইন দিতে হচ্ছে। কিন্তু স্কুল বাস না চলা এবং বেতন না হওয়ায় রোড ট্যাক্স দেওয়ার মতও পয়সা নেই বহু স্কুল বাস মালিকের। এছাড়া অনেকেই সিএফ ও পারমিট ফাইন দিয়ে উঠতে পারেননি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিমাদ্রি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আগামী ৬ মাসের কর বা রোড ট্যাক্স মকুব করে দেওয়া হোক। আগামী জুন মাস পর্যন্ত এটা পিছিয়ে দিলে সুবিধা হবে। কর মকুব চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে পরিবহণ দফতরেও।”