
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: উড়ান ও ট্রেন চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রকে জোড়া চিঠি দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার মনে করছে, ন্যূনতম সংখ্যায় মেট্রো চালালেও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের কর্মস্থলে যাতায়াতে অনেকটাই সুবিধা হবে। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আমজনতার কিছুটা সুবিধার জন্য মেট্রো রেল চালানোর জন্য মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লাকে এক চিঠি লিখেছেন।
মেট্রো রেল চালানোর ব্যাপারে সোমবারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। ওইদিন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেট্রো চালানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে হবে রাজ্য সরকারকে। আরপিএফ দিয়ে ভীড় নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক দূরত্ব মেনে মেট্রো চালানো যে কার্যত অসম্ভব, তা জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রো আধিকারিকরা।
চিঠিতে লিখেছেন, সেখানে লেখা হয়েছে, অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য এই পরিষেবা চালু করা হোক। তাহলে সমস্যা সামান্য হলেও কমবে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতরের সচিবকে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। সেখানে রাজ্যের তরফ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে, আগামী ৬ থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত দেশের নির্দিষ্ট আট শহর ছাড়া বাকি জায়গা থেকে সপ্তাহে একদিন করে উড়ান চালানো হোক।
গুরুত্বপূর্ণ দেশের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত শহরগুলি থেকে ৬ জুলাই থেকে ১৪ দিন রাজ্যে কোনও উড়ান পরিষেবা বজায় না রাখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যসচিব। এই শহরগুলি হল মুম্বই, দিল্লি, পুণে, নাগপুর, চেন্নাই, ইন্দোর, আহমেদাবাদ ও সুরাত। এই আট শহর থেকে আপাতত ১৪ দিন রাজ্যে বন্ধ থাকুক উড়ান পরিষেবা, এই আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। এর কারণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী জানান, যেভাবে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১ জুলাই থেকে বিয়ে কিংবা শ্রাদ্ধে ২৫ জনের থেকে নিমন্ত্রিতের সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা হচ্ছে। তিনি মজা করে বলেন, বাকিদের বাড়িতে খাবার হোম ডেলিভারি করেই পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি, আনলক-২ পর্বে মর্নিং ওয়াক করার জন্য সকাল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হল সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: এভাবেও শুরু করা যায়… সেটাই দেখিয়েছিলেন ডা. বিধানচন্দ্র রায়
মেট্রো রেল চালানোর ব্যাপারে সোমবারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি। ওইদিন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মেট্রো চালানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে রেল মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলতে হবে রাজ্য সরকারকে। আরপিএফ দিয়ে ভীড় নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক দূরত্ব মেনে মেট্রো চালানো যে কার্যত অসম্ভব, তা জানিয়ে দিয়েছেন মেট্রো আধিকারিকরা।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, ১২ই অগাষ্টের আগে চলবে না মেট্রো। এদিকে, এর আগে, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন নিয়ম মানলে কলকাতা মেট্রো চলাচলে ছাড় দিতে পারে রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে আগামী ১লা জুলাই থেকে যে মেট্রো ফের একবার চলতে পারে সেই বিষয়েই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। নবান্নে মমতা জানিয়ে ছিলেন, কলকাতা মেট্রোর সঙ্গে কথা বলছে রাজ্য সরকার। মেট্রোয় যতগুলি আসন ততগুলি আসনে যাত্রী নিয়েই চলাচল শুরু করার কথা বলা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মেট্রোর আসনগুলি যাতে ভালোভাবে স্যানিটাইজ করা হয় সে বিষয়েও কলকাতা মেট্রোকে নজর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে ছিলেন, এই পদ্ধতি মানলে কলকাতায় মেট্রো চলতে পারে। তাহলে ১ জুলাই থেকে মেট্রো চলতে পারে। তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুলিশ বৈঠক করবে বলে জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, আপাতত বন্ধই থাকছে ট্রেন পরিষেবা। আগামী ১২ অগস্ট পর্যন্ত সমস্ত রকম পরিষেবা বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত ভারতীয় রেলের। সেক্ষেত্রে কলকাতায় মেট্রো চালানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে ১২ই অগাষ্ট পর্যন্ত।