মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের মেঘ! পরমাণু বিজ্ঞানীর পর ড্রোন হানায় মৃত্যু ইরানের সেনা কমান্ডারের

তেহেরান, সংবাদসংস্থা: অশান্তির কালো ছায়া ক্রমেই বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। বছরের শুরুতেই কাশেম সোলেইমানি হত্যা, চলতি মাসে ইরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যার রেশ না কাটতেই এবার ‘খুন’ হয়েছেন ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস-এর এক প্রভাবশালীকমান্ডার মুসলিম শাহদান।
সূত্রের খবর, গত শনিবার ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তে ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মুসলিম শাহদানের। এদিন ইরাক সীমান্তে সিরিয়াদের এজ-জর প্রদেশে গাড়িতে দেহরক্ষীদের সঙ্গে সফর করছিলেন মুসলিম। তখনই তাঁদের উপর মিসাইল হামলা চালায় একটি ড্রোন। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই কমান্ডার মুসলিম ও তাঁর তিন দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা ও ইজরায়েল। ড্রোন দিয়ে এমন সঠিকভাবে হামলা চালাতে গেলে যে পরিমাণের ‘ইন্টেলিজেন্স ইনপুট’ বা গোপন খবর ও পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার মতো ক্ষমতা সিআইএ ও মোসাদের রয়েছে।
এদিকে, ইরানের শীর্ষস্থানীয় পরমাণু ও প্রতিরক্ষা শিল্প বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজাদে’র হত্যাকাণ্ডকে ‘অপরাধমূলক তৎপরতা’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল। রাষ্ট্রপুঞ্জ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও রাশিয়া, তুরস্ক, কাতার, সিরিয়া, ভেনিজুয়েলা ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বহু দেশ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছে। তারই মাঝে মুসলিমের হত্যা মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, একের পর এক শীর্ষ আধিকারিকদের হত্যা চুপচাপ মেনে নেবে না ইরান।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তেহরানের রাস্তায় সে দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজাদেহকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা। এরপরই এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের হাত আছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে ইরান। এমনকী ইজরায়েলকে আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য বলে কটাক্ষ করে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তারপরই কমান্ডার মুসলিম শাহদানের হত্যা আগুনে ঘি ধলার কাজ করেছে।