ONGC প্ল্যান্ট থেকে শীঘ্রই উত্তোলন হবে খনিজ তেল, এখনও কাটেনি জমিজট

রুদ্র নারায়ণ রায়, উত্তর২৪ পরগনা: পুজোর মৌসুম কাটলেই অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার অন্তর্গত ওএনজিসির নির্দিষ্ট পরীক্ষা স্থান থেকেই উত্তোলিত হতে পারে খনিজ তেল। চলছে প্রায় তারই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্ব। ইতিমধ্যেই প্রায় ১৪ একর জমি পেতে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে ওএনজিসি। জমি চিহ্নিতকরণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
ওএনজিসি চিহ্নিত ওই এলাকায় বেশিরভাগ জমি, রাজ্যের উদ্বাস্তু ও শ্রেণী কল্যাণ দফতরের হাতে। তবে জমির কিছু অংশে স্থানীয় চাষিরা বছরে একবার চাষ করেন বলে স্থানীয় মানুষের দাবি। পাশাপাশি ওই এলাকার কাছেই তৈরি হয়েছে অশোকনগরের ডাম্পিং জোন। ফলে, নির্দিষ্ট জমি চিহ্নিত করে রিপোর্ট ইতিমধ্যেই নবান্নে পাঠানো হয়েছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। সবুজ সঙ্কেত মিললেই দ্রুত পরিকাঠামোগত যে উন্নয়নের দরকার, তার কাজ শুরু করতে পারবে ওএনজিসি কর্তৃপক্ষ।
ফলে হাবরা- নৈহাটি মেন রোড থেকে ওএনজিসি নির্দিষ্ট পরীক্ষা স্থল পর্যন্ত পাকা রাস্তা, বৈদ্যুতিকরণ সহ একাধিক প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভবপর হবে। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে এই স্পট থেকে প্রথম খনিজ তেল উত্তোলন করা হয়। পরে তা পাঠানো হয় ওএনজিসির নির্দিষ্ট পরীক্ষাগারে।
জানা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বিপুল পরিমাণ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে অশোকনগর কল্যাণগড় পৌর অঞ্চলের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে। তবে আপাতত ওই স্থানে চলছে খনিজ তেল উত্তোলনের জন্য পাইপ পোঁতার কাজ।
ওএনজিসি কর্মরত (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক আধিকারিক জানালেন, নভেম্বরের শেষের দিকে এই কেন্দ্র থেকে তেল উত্তোলন শুরু হতে পারে। তাই ওই স্পট এর কাছেই তৈরি হচ্ছে রিজার্ভার। তেল উত্তোলনের পর তা সংরক্ষণ করা হবে ওই রিজার্ভারে। পরে সেখান থেকেই বড় বড় ট্যাংকার করে উত্তোলিত খনিজ তেল চলে যাবে হলদিয়া তৈল শোধনাগারে। সেখানেই শোধন করা হবে ওই তেল।
তবে বিশ্বের বাজারে খনিজ গ্যাসের মূল্য বর্তমানে হ্রাস পাওয়ায়, আপাতত ওই স্থানে থাকা খনিজ গ্যাস তোলা হবে না বলেই জানান তিনি। ওএনজিসি চাহিদামত জমি পাওয়া গেলেই অত্যাধুনিক মেশিন, পাম্প সহ একাধিক তেল উত্তোলনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ এই স্থানে নিয়ে আসা হবে।
আরও পড়ুন: কৃষি আইনের পক্ষে হাউরের হরশঙ্করপুর হাটে বিজেপির সভা
যার ফলে অতি দ্রুত সেই তেল তোলা সম্ভবপর হবে । তিনি আরও জানান, এই এলাকায় খনিজ তেল পাওয়া গিয়েছে মানেই আশপাশের এলাকাগুলোতে এই খনিজ তেল থাকার সম্ভাবনা প্রায় ৯৮ শতাংশ। ফলে এই এক জায়গায় নয়, অশোকনগরের আরও বিভিন্ন এলাকা তারা পরীক্ষা করে দেখবেন।
ওএনজিসি এই প্ল্যান্ট পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মানচিত্রে অশোকনগর কে এক বিশেষ স্থান তৈরি করে দেবে বলেই আশাবাদী ওয়াকিবহাল মহল। পাশাপাশি যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থানেরও সুযোগ ঘটবে এবং এলাকার ডেভেলপমেন্ট আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদি অশোকনগরের বৃহৎ অংশের মানুষ।