বিজেপির কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়ার অভিযোগে হামলার শিকার সংখ্যালঘু পরিবার
মিলন পণ্ডা, নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর): পবিত্র ঈদ উপলক্ষে বিজেপির কাছ থেকে ত্রাণ নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার পর গোটা এলাকায় ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নন্দীগ্রাম থানার আমেদাবাদ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পুরো ঘটনাটি অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার পবিত্র ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব নন্দীগ্রামে আমেদাবাদের গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সংখ্যালঘু পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বরা সংখ্যালঘু পরিবারে হাতে চাল, ডাল,তেল সহ একাধিক খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। অভিযোগ, এরপর মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী ত্রাণ নেওয়ার পরিবারের কাছে এসে হাজির হয়। বিজেপির কাছ থেকে ত্রান নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীরা বলে বিজেপির অভিযোগ।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এলে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীরা বলে বিজেপি অভিযোগ। তারপরে চারজন মহিলা সহ এগারোজনকে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রলয় পাল বলেন, সোমবার পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সংখ্যালঘু পরিবারের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই ত্রাণ নেওয়ার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘু পরিবারের মহিলা সহ একাধিক সদস্যকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মারধর করে। প্রলয়বাবু আরও বলেন থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারের হুমকি দেয়।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কনিস্ক পণ্ডা বলেন তাদের দল ত্রাণ নিয়ে কোনও রাজনীতি করে না। বিজেপি দল ত্রান নিয়ে রাজনীতি করছে। আর বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে এমন ঘটনা। পুলিশ তদন্ত করে প্রকৃত তথ্য প্রকাশ পাবে। নন্দীগ্রাম থানার ওসি অজয় মিশ্র বলেন এই ঘটনায় থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।অভিযোগ পেলে পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখবে।