ধর্ষণের বিরুদ্ধে ও যোগীর পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলনে সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন

মোকতার হোসেন মন্ডল, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে দলিত নারী ধর্ষণের বিরুদ্ধে পথে নেমে আন্দোলন করছে একাধিক সংগঠন। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের পদত্যাগ চেয়ে কলকাতার ধৰ্মতলায় বিক্ষোভ দেখালো সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। এদিন নির্যাতিতার পরিবারের ন্যায় বিচারের দাবিও ওঠে।
সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের রাজ্য সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান, মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী, অনন্ত আচার্য ছাড়াও ইমাম-মুয়াজ্জিন কাউন্সিলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। কামরুজ্জামান বলেন,দেশের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে একটা ভয়ানক অস্থিরতা বিরাজ করছে। দেশে আইনের শাসন দুর্বল থেকে দুর্বলতর হচ্ছে।
মোদি সরকার যে সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগান দিয়েছিল তা যে কত অন্তঃসারশূন্য তা মানুষ বুঝতে পারছে। এতদিন পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এখন শুরু হয়েছে গণধর্ষণ। এই মানবতা বিরোধী অপরাধের শিকার হচ্ছে দলিতরা।”
তিনি বলেন,’অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া ছাড়া এই নৈরাজ্য থেকে মুক্তি নাই।
অন্যদিকে “বেটি বাঁচাও,মানবতা বাঁচাও, দেশ বাঁচাও” স্লোগান দিয়ে ধর্ষণের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী হিন্দ।
সংগঠনটির রাজ্য সভাপতি মাওলানা আব্দুর রফিক সাহেব বলেন,” সারাদেশে নারীদের সাথে বলাৎকার, অসভ্যতা, ধর্ষণের মতো ঘটনা দিনের পর দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মৌলিক কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হলো, বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়া ও অপরাধীর শাস্তি সুনিশ্চিত না হওয়া। ইসলাম সহ সকল ধর্মীয় বিধান এক্ষেত্রে কঠোর বিধান প্রয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছে। ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের বিকল্প কোনো সাজা হতে পারে না। ধর্ষণ বন্ধের জন্য কঠোর শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি মদ, নেশাদ্রব্য, অশ্লীল চলচ্চিত্র সহ যাবতীয় মাধ্যম অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
লজ্জাজনক হাথরস কাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে জামাআত বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। যেখানে একজন দলিত নারীকে গণধর্ষণ করে নির্লজ্জ্ব ভাবে জিভ কেটে ফেলা হয়েছে।”