পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা, উত্তেজনা

শ্যাম বিশ্বাস, উওর ২৪ পরগনা: পৌরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলা। গোবরডাঙ্গা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রসন্ন কালীবাড়ি এলাকার ঘটনা। ডাক্তার নারায়ণ চন্দ্র করের অভিযোগ তিনি করোনা আবহে দিনরাত এক করে মানুষের জন্য পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, ওনার চেম্বার এবং পৌরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পরিষেবা দেন। ওনার বাড়িতে কোনও রকম রোগী দেখার ব্যবস্থা নেই, পাশাপাশি তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, কিডনিতে অপারেশন হয়েছে, তাই বাড়িতে কোনও রোগী দেখেন না রাতের বেলায়।
বুধবার রাত বারোটার পরে একটি শিশুকে নিয়ে রোগীর আত্মীয়রা ডাক্তারের বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে, কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ইটবৃষ্টি শুরু করে বলে অভিযোগ ডাক্তারবাবুর। পরে প্রায় কুড়ি পঁচিশ জনের একটি দুষ্কৃতীর দল মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে এ ধরনের অত্যাচার করে। বাড়ির জানালার কাঁচ, নেমপ্লেট, গেট ভাঙচুর করে। তার পাশাপাশি ডাক্তারবাবুর অভিযোগ রাস্তার উপরে থাকা লাইট এবং বাড়ির সিসি ক্যামেরা পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। তারপর ওই দুষ্কৃতীরা অকথ্য নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। ডাক্তারবাবুর আরও, অভিযোগ ওই রাতে গোবরডাঙ্গা থানার বড়বাবুকে ফোনে সব জানানো হয় তার কিছুক্ষণ বাদে কিছু পুলিশ আসে কিন্তু ওই দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। তারপরেও সকালে গোবরডাঙ্গায় থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না।
আরও পড়ুন:ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল অসম, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৩.৪
এমতবস্থায় উনি এবং ওনার পরিবারের ডাক্তারি পড়ুয়া এক ছাত্রী তিনি বলেন, মানুষের সেবা করতে গিয়ে যদি আমাদের বাড়ি এসে বাড়ি ভাঙচুর করে প্রাণনাশের হুমকি দেয় তাহলে এই ধরনের পেশায় আর না যাওয়াই ভালো। তিনি আরও বলেন, এর থেকে গ্রামে যদি একটি মুদি দোকান করে বসি তাতে সম্মান বাড়বে। আমরা আর এই ডাক্তারি পেশার মধ্যে থাকতে চাই না। তাদের পরিবারের সকলেই এই ডাক্তারি পেশা থেকে, সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।