যোগী রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তায় “মিশন শক্তি”, পুলিশে ২০% মহিলা নিয়োগের ঘোষণা আদিত্যনাথের

যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডের পর নড়েচড়ে বসেছে যোগী সরকার। এবার মহিলাদের নিরাপত্তায় পুলিশে ২০ শতাংশ মহিলা নিয়োগ করা হবে বলে ঘোষণা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। গত শনিবার উত্তরপ্রদেশের বলরামপুরে “মিশন শক্তি” অভিযানের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কার্যত বাধ্য হয়েই রাজ্যের নারী সুরক্ষা স্বার্থে এই “মিশন শক্তি” নামে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশে নারী সুরক্ষা আরও মজবুত করতে পুলিশে আরও ২০% মহিলা কর্মী নিয়োগ করা হবে।
শনিবার বলরামপুরে গিয়ে যোগী আদিত্যনাথ বলেন যে, রাজ্যের মা, বোনেদের সন্মান নিয়ে যাঁরা খেলবে, তাঁদের আইনের আওতায় কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তি দেওয়ার হবে। সেই কারণেই এই প্রকল্পের চালু করা হল। যোগী আদিত্যনাথ আর বলেন যে, বলরামপুরের উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে আজ এখানে একসাথে ৫০০ কোটি টাকার বেশি খরচের প্রকল্পের শিলন্যাস হচ্ছে।
[আর পড়ুন- হিন্দুদের সংস্কৃতি আমাকে মুগ্ধ করেছে, জানালেন প্রাক্তন ক্রিকেটার জন্টি রোডস]
উল্লেখ্য, হাথরাস কাণ্ডের পর যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে নারী সুরক্ষার জন্য অন্য পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। সেখানে অ্যান্টি রোমিও স্কোয়াডের পাশাপাশি শেরনি স্কোয়াডও তৈরি করেছেন যোগী আদিত্যনাথ। পুরো উত্তরপ্রদেশ জুড়ে মহিলাদের উপর অত্যাচার থামাতেই শেরনি স্কোয়াড নিয়ে আসা হচ্ছে। এই শেরনি স্কোয়াডের কর্মীরা পুরো রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে থাকবে। বিশেষ করে জনবহুল এলাকায় মোতায়েন থাকবে এই শেরনি স্কোয়াডের কর্মীরা। মূলত শপিংমল, বাজার ও ধর্মীয়স্থানগুলিতে শেরনি স্কোয়াডের সদস্যদের মোতায়েন করা হবে। কারণ এইসব এলাকাতেই বেশি ইভটিজিং, শ্লীলতাহানির মতন ঘটনা ঘটছে। সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত নজরদারি চালাবে এই শেরনি স্কোয়াডের কর্মীরা। এরও আগে যোগী ঘোষণা করেছিলেন যে, রাজ্যে কোথাও মহিলাদের সাথে অভদ্রতা হলে অভিযুক্তের ছবি সেই এলাকার রাস্তায় রাস্তায় টাঙানো হবে। এমনকি অভিযুক্তদের সঙ্গ দেওয়া মানুষদেরও ছাড়া হবে না। এরপর মহিলাদের আরও নিরাপত্তা দিতে পুলিশে ২০ শতাংশ মহিলা নিয়োগ করার ঘোষণা করা হল।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাথরাসের এক তরুণীকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে চার যুবক। কিন্তু স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে তড়িঘড়ি দিল্লি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দিনকয়েক হাসপাতালের বেডে লড়াইয়ের পর অবশেষে গত ৩০ সেপ্টেম্বর মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর উত্তাল হয়ে ওঠে দেশীয় রাজনীতি। মহিলাদের নিরাপত্তা দিতে উঠেপড়ে লেগে ওঠে যোগী আদিত্যনাথ।