প্রয়াত তৃণমূল নেতা অঞ্জন বেরার বাড়ি গিয়ে সমবেদনা জানালেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো

সুদর্শন বেরা, পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রয়াত তৃণমূলের নেতা অঞ্জন বেরার বাড়িতে গিয়ে সমবেদনা জানালেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো
বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার সময় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকের অন্তর্গত গুড়গুড়িপাল থানার মনিদহ অঞ্চলের উপ প্রধান তথা মনিদহ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর অঞ্জন কুমার বেরা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ৫৫ বছর বয়সী অঞ্জন কুমার বেরা গুড়গুড়িপাল থানা তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি মানুষের কাছে অতি পরিচিত ছিলেন। তিনি একজন সমাজসেবী হিসাবে পরিচিত ছিল। তিনি রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাই তার মৃত্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস, তেমনি বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম দলের নেতৃত্বরা তার বাড়িতে গিয়েও তাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তার পরিবারকে সমবেদনা জানায়। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যে কে কোন দল করেন তা বিচার করতেন না। সকলকেই সমান চোখে দেখতেন। তাই তাকে সকলেই শ্রদ্ধা করতেন।
২০১৩ সালে থেকে দুই হাজার কুড়ি সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি উপপ্রধান পদে ছিলেন। বর্তমানে তিনি বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর ছিলেন। তার মৃত্যুতে মেদিনীপুর বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের কর্মচারী থেকে তার সতীর্থরা শোকে ভেঙে পড়েন। বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী তার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন ওই ব্যাঙ্কের সম্পাদক প্রদীপ পাত্র। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার সময় শালবনির তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো মেদিনীপুর সদর ব্লকের মনিদহ অঞ্চলএর বাঘেরপুকুর এলাকায় দলের প্রয়াত নেতা অঞ্জন বেরার বাড়িতে যান। তিনি তার স্ত্রী সহ পরিবারের সকলকে সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য
তিনি বলেন, ‘অঞ্জন দার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি হল। শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নয় তিনি ছিলেন এই এলাকার একজন জনসেবক। তার মৃত্যু আমাদেরকে অনেক ধাক্কা দিয়ে গেল। তাঁর আত্মার আমরা শান্তি কামনা করি। তিনি তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন’। তিনি বলেন, ‘আমি যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন অঞ্জনবাবুর পরিবারের পাশে আমি আমার ক্ষমতা অনুযায়ী সাহায্য করবো। অঞ্জন বেরা এমন একজন ছিলেন যিনি নিজে সাদাসিদে একটি পুরনো ঘরে বসবাস করতেন। তার অহংকার বলে কিছুই ছিল না। বাম জমানায় তার বিরুদ্ধে বহু কেস দিয়েছিল। সেই বাম জমানার আঁতুড়ঘর এনায়েতপুর থেকে ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪০ বছর পর প্রথম কোন বিরোধী দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাই অঞ্জন বেরার মৃত্যুতে গুড়গুড়িপাল থানা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে’।