
যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ সোমবারই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়ালি বৈঠকে একাধিক পদক্ষেপ নিল দুই দেশ। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খণিজ ঘিরে এতদিন পর্যন্ত চিনের ওপর ভারতকে নির্ভর করে থাকতে হত। এবার সেই নির্ভরতার কিছুটা দিক কিছুটা লাঘব হবে। দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার বৈঠকে খনিজ ছাড়াও ছাত্র ইস্যু থেকে শুরু করে পেশাগত দিক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে নতুন গাঁটছড়া বেঁধেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ইন্দো-পেসিফিক এলাকায় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে।
এই সাক্ষাতের পর অস্ট্রেলিয়া ১৫৬০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে মহাকাশ গবেষনা, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনী ক্ষেত্রে। দুই দেশই সম্মত হয়েছে, কম্প্রিহেনসিভ ইকোনমিক কো অপরেশন এগ্রিমেন্টের ক্ষেত্রে। এছাড়াও চাষাবাদ সংক্রান্ত বাণিজ্যের চূড়ান্ত রূপরেখা দেওয়ার বিষয়েও দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
View this post on Instagram
পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরল ২৯টি ঐতিহাসিক ভাস্কর্য। সেই ভাস্কর্যের তালিকায় রয়েছে শিবমূর্তি, বিষ্ণুমূর্তি-সহ জৈনি ধর্মের একাধিক ঐতিহাসিক ভাস্কর্য। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, সোমবার এই ফের আসা ভাস্কর্যগুলির বিষয় খতিয়ে দেখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, এই ভাস্কর্যগুলি আনুমানিক নবম ও দশম শতকের। এগুলিকে মোট ছ’টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। শিব ও তাঁর ভক্তরা, শক্তি আরাধনা, ভগবান বিষ্ণু ও তাঁর ভিন্ন রূপ, জৈন ঐতিহ্য, পোট্রেট ও সাজানোর জিনিস। এগুলি মূলত বিভিন্ন সময়ের তৈরি ভাস্কর্য ও চিত্র।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, এগুলির মূলত ভারতের রাজস্থান, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা ও পশ্চিমবঙ্গের। এই ঐতিহাসিক ভাস্কর্যের মূর্তি শেয়ার করেন ইন্সটাগ্রামেও।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের কোয়াড বৈঠকের পর অস্ট্রেলিয়া ও ভারত দুই দেশের রাষ্ট্রনেতারা এই প্রথম মুখোমুখি হলেন ভার্চুয়াল মিটে। বৈঠকের পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হিন্দিতে ভাষণ দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনকে তিনি ‘ডিয়ার ফ্রেন্ড’ বলে আখ্যা দেন। মোদী বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি পথে এগিয়েছে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, শিক্ষা ও উদ্ভাবন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, এই সব ক্ষেত্রে আমাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে।’ এদিকে, স্কট মরিসন বলেন, অতিমারী পরবর্তী দুনিয়ায় যাতে আরও এগিয়ে যাওয়া যায়, তাতে তার জন্য দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।