বৈষম্য না বাড়িয়ে টিকার সার্টিফিকেট গ্রহণ করে, সমস্ত দেশকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান মোদির

যুগশঙ্খ, ওয়েবডেস্কঃ করোনার আবহে বিদেশযাত্রা নিয়ে বহু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই অবস্থার মধ্যে টিকা নিয়ে আরও জটিলতা তৈরি করে ব্রিটেন। সম্প্রতি ব্রিটেন তাদের দেশের আবিষ্কৃত তথা ভারতে উত্পাদিত কোভিশিল্ডের স্বীকৃতি রদ করে। এদিকে আবার এখনও ‘হু’-এর অনুমোদনের অপেক্ষায় কোভ্যাক্সিন। সেই কোভ্যাক্সিন নিয়েই বিদেশ সফরে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই অবস্থায় ভ্যাকসিন নিয়ে অযথা জটিলতা না বাড়িয়ে সমস্ত দেশকে পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি, ব্রিটেনের নির্দেশিকায় জানায় ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আগত যাত্রীরা সেদেশে টিকার দুই ডোজও নিয়ে থাকলেও তাদের টিকাপ্রাপ্ত বলে গণ্য করা হবে না। টিকাপ্রাপ্ত হলেও যাত্রীদের ১০ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে বলে জানানো হয় ব্রিটিশ সরকারের তরফে। কিন্তু ভারতের অসন্তোষ ও হুঁশিয়ারির এবার তাদের সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় ব্রিটেন। অবশেষে বুধবার কোভিশিল্ডকে স্বীকৃতি দেয় ব্রিটিশ সরকার। তবে ব্রিটিশ সরকার পরিবর্তিত গাইডলাইনে জানিয়েছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এবং সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনকে মান্যতা দিয়েছে সরকার। তবে ব্রিটেনে আসতে গেলে যাত্রীকে টিকার দুটি ডোজ অন্তত ১৪ দিন আগে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের নয়া ভ্রমণ নীতি আগামী ৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। আগে বিদেশিদের ব্রিটেন ভ্রমণ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করে ব্রিটিশ সরকার। সেখানে বলা হয়েছিল যে সব ভারতীয় কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নিয়েছেন তাঁদের ভ্যাকসিন হয়নি বলেই ধরে নেওয়া হবে। ১০ দিন সেল্ফ আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। এতেই ভারতের ক্ষোভের মুখে পড়ে ব্রিটেন। ভারতের অসন্তোষের কাছে পিছু হটতে বাধ্য হয় ব্রিটেন সরকার। পরে পরবর্তী নির্দেশিকা জারি করে তারা।
তবে ভারত ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার একাধিক দেশ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলির জন্যও এই নিয়ম বজায় থাকবে।