
যুগশঙ্খ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রের বিদেশ নীতি নিয়ে এবার মোদিকে আক্রমণ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। বুধবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে রাহুলের তোপ, “কয়েক দশকের চেষ্টায় যে সম্পর্কের জাল তৈরি করেছিল কংগ্রেস, তা নষ্ট করে দিয়েছেন মোদি। বন্ধুহীন পাড়ায় বাস করা অত্যন্ত বিপজ্জনক।” চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে তলানিতে। বাংলাদেশের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার জন্য মোদির বিদেশনীতিকে দায়ী করেছেন কংগ্রেস নেতা। ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি সামলাতে মোদি সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সামালোচনা শোনা গিয়েছে রাহুলের গলায়। পাশাপাশি দেশের বেকারত্ব সমস্যা ও বেহাল অর্থনীতি, চিনের সঙ্গে অশান্তি– সব ইস্যুতেই মোদি সরকারকে বিঁধছে কংগ্রেস।
বিশ্লেষকদের মতে, চিনের সঙ্গে সীমা বিবাদের পর থেকেই বিদেশনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঘিরতে চাইছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যদিও, বাংলাদেশের খালেদা জিয়া সরকার এবং কেন্দ্রে তৎকালীন কংগ্রেসে সরকারের মধ্যে তেমন সুমধুর সম্পর্ক ছিল বলে কেউই বলতে পারবেন না। বরং ওই সময়ে অসম-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতে উলফার মতো বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলি চরম সক্রিয় হয়ে ওঠে।
Mr Modi has destroyed the web of relationships that the Congress built and nurtured over several decades.
Living in a neighbourhood with no friends is dangerous. pic.twitter.com/OxGzzHoEYb
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) September 23, 2020
কয়েক দিন আগে একের পর এক সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণের প্রস্তাবে রাহুল গান্ধি তীব্র সমালোচনায় সরব হন মোদি সরকারের । আরও ২৬টি কোম্পানি থেকে কেন্দ্রের নিজের অংশ বিক্রি করার সিদ্ধান্ত সামনে আসতেই সমালোচনায় সরব বিরোধীরা । কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির অভিযোগ, দেশের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের আশা শেষ করে দিচ্ছে এই সরকার । একের পর এক সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্তে দেশের নয়, মোদিজির কাছের মানুষ, কিছু বিশেষ বন্ধুরই সুবিধে হচ্ছে বলে দাবি রাহুলের । রাহুল ট্যুইটে লেখেন, ”মোদি সরকারের একের পর এক অবিবেচক, অনাবশ্যক সিদ্ধান্তের ফল ভুগছে দেশ । তার মধ্যে একটি সরকারি সম্পত্তির বেসরকারিকরণ । দেশের যুবসমাজ চাকরি চাইছে, তখন তাদের কর্মসংস্থানের জমা পুঁজি শেষ করে একের পর এক PSUs-র থেকে নিজেদের অংশ বিক্রি করে দিচ্ছে মোদি সরকার। এত কে লাভবান হচ্ছে? শুধুমাত্র হাতে গোনা কয়েকটি লোক, যারা মোদিজির ‘খাস’ । এই সিদ্ধান্তে লাভবান হচ্ছেন শুধুমাত্র মোদিজির কিছু ‘মিত্রোঁ’। ”
আরও পড়ুন: ‘পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর ৫৮টি দেশে বিদেশ সফর, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে লাভবান হয়েছে ভারত’: মুরলীধরণ
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীকে হাতিয়ার করে বাংলাদেশকে কাছে টানতে চাইছে চিন। ঢাকাকে ১ লক্ষের বেশি করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ বিনামূল্যে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বেজিং। তবে থমকে নেই ভারতও। বাংলাদেশে ভারতের নয়া রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হচ্ছেন দুঁদে কুটনীতিবিদ বিক্রম ডরাইস্বামী। বর্তমানে এই পদে রয়েছেন রিভা গাঙ্গুলী দাস। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশমন্ত্রকের সচিব (পূর্ব) হয়ে নয়াদিল্লি ফেরত আসবেন তিনি। সূত্রের খবর, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন , তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি ও রোহিঙ্গা ইস্যু-সহ একাধিক বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে নয়াদিল্লির কিছুটা চাপানউতোর চলছে। বিগত কয়েক মাসে ভারতের দূতের সঙ্গে নাকি একবারও দেখা করেননি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে বাণিজ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পাঠিয়ে লাগাতার বাংলাদেশের উপর নিজের প্রভাব বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চিন।